আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ হাটহাজারী ওলামা পরিষদের উদ্যোগে গত শুক্রবার (২ অক্টোবর) বাদে জুমা ডাকবাংলো চত্তরে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি রহ. এর জীবন, কর্ম ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন হেফাজত মহাসচিব, হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ যুগে যুগে তাঁর প্রিয় বান্দাদের মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের ব্যাপক খেদমত আঞ্জাম দিয়ে থাকেন। আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি বাংলাদেশে ভ্রান্ত মতবাদ ও অনৈসলামিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে গেছেন। ২০১৩ সালে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদের আগ্রাসী আস্ফালনের বিরুদ্ধে এদেশের আলেমসমাজ ও তাওহিদী জনতাকে নিয়ে ইতিহাসের নজিরবিহীন গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। যা ছিলো এক মহাজাগরণ। আমার শায়খ ও সবার মুরুব্বী আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর ইন্তেকালে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তবে অচিরেই হুজুরের রেখে যাওয়া কর্মসূচীকে সামনে রেখে হেফাজত ও কওমী মাদরাসাসমূহকে আমরা সকলে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। এজন্য আপনাদের সকলকে ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, ইলমে হাদীস ও মাদরাসা শিক্ষার প্রচার-প্রসারে ব্রত থাকার পাশাপাশি ইসলাহী বয়ান, তাসাওফ এবং সুলুকের লাইনেও আল্লামা শাহ্ আহমদ শফি বহু খেদমত করে গেছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন এদেশের আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতার জন্য এক অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে। আল্লাহ তা’আলা হযরতের ক্রুটি-বিচ্যুতিগুলো ক্ষমা করুন, আখিরাতের দারজাত বুলন্দ করে দিন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ মাকাম নসীব করুন।
আল্লামা শাহ্ আহমদ শফিকে বিশ্বনেতা সম্বোধন করে শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক বলেন, ইসলাম প্রচার-প্রসারে তাঁর অবদানের কথা আগামী কয়েক শতাব্দি মানুষ মনে রাখবে। হাদীসের মসনদ থেকে ময়দানে নেমে শিরক, বিদআত ও নাস্তিক-মুরতাদসহ সকল অপশক্তি বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তাঁর ইন্তেকালে আমরা একজন আদর্শ সেনাপতিকে হারালাম।
ওলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ শফির সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনীর, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরীস, যুগ্ম সম্পাদক মাও. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীর যৌথ সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাটহাজারী মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা শেখ আহমদ, সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা মোঃ ইয়াহইয়া, পটিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা আবু তাহের নদভী, নাজিরহাট বড় মাদরাসার পরিচালক আল্লামা মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী, চারিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ হারুন, মেখল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতী মুহাম্মাদ আলী কাসেমী, বাথুয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস আল্লামা জাফর আহমদ।
বিশেষ আলোচক ছিলেন প্রফেসর ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসাইন, মাওলানা খোবাইব পরিচালক জিরি মাদরাসা, মাওলানা আবু তৈয়ব আব্দুল্লাহপুরী পরিচালক জামিয়া উম্মুল ক্বোরা মহিলা ক্যাম্পাস, মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী পরিচালক আজাদী বাজার মাদরাসা, মাওলানা জাহেদুল্লাহ পরিচালক ইছাপুর মাদরাসা, মুফতী সিরাজুল্লাহ পরিচালক দারুচ্ছুফ্ফা মাদরাসা, মাওলানা ফরিদ দারুল মাআরিফ, হাফেজ তৈয়ব পরিচালক সেগুনবাগান মাদরাসা, মুফতী হারুন ইযহার লালখান বাজার মাদরাসা, মাওলানা ইব্রাহীম পরিচালক মাদার্শা মাদরাসা, মাওলানা নছিম গড়দুয়ারা মাদরাসা, মাওলানা মুস্তফা খন্দকিয়া মাদরাসা, মাওলানা শিহাব উদ্দীন পরিচালক ইউনুছিয়া মাদরাসা, মাওলানা মাহমুদ শাহ্ বাবুনগর মাদরাসা, মুফতী হোসাইন দলইনগর মাদরাসা, মাওলানা ক্বারী ফজলুল করিম সেগুনবাগান মাদরাসা, মাওলানা জামাল উদ্দীন খন্দকিয়া মাদরাসা।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন, মাওলানা আনোয়ার শাহ্ আযহারী, মাওলানা মোঃ শফিউল আলম, মাওলানা নজরুল ইসলাম চাঁদগাজী, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা রিজওয়ান আরমান, মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ ওবাইদ (কওমী ভিশন), মাওলানা মোঃ আসাদ উল্লাহ, হাফেজ আব্দুল মাবুদ, মোঃ আতিকুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান হাবীব, মাওঃ হাফেজ জামশেদুল ইসলাম, মাওঃ ইকবাল গড়দুয়ারী, মাওঃ হাফেজ সালাউদ্দীন, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।