এ,কে, আজাদ – আইরিশ বাংলা পোষ্টঃ
মহামারি করোনাভাইরাসে জরুরি রাষ্ট্রীয় সতর্কতার মেয়াদ আগামী ১৯ ই এপ্রিল পর্যন্ত জন্য বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে আগামী ১৯ ই এপ্রিল পর্যন্ত।
বিশাল মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভরাদকার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছেন ।
নতুন বিধি নিষেধে যা বলা হয়েছেঃ
*এক সাথে চারজনের বেশী লোক বাহিরে বেড় হতে পারবেনা যদিনা সবাই একই পরিবারের সদস্য হয়।
*কফির দোকান ও রেস্তোরাঁগুলো শুধু প্যাকেট খাবার বিক্রি করতে পারবে ক্রেতারা রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবে না।
- পুলিশ ও পার্কের নিরাপত্তা কর্মী জনসামাগমের বিষটি তদারকি করবে।
- অতি জরুরী না হলে কাউকে অফিসে যেতে মানা করা হয়েছে, বাসায় বসে অফিসের কাজ সারার কথা বলা হয়েছে।
- বেসরকারি হাসপাতাল গুলোকে সরকারি হাসপাতালের ন্যায় কাজ করতে বলা হয়েছে
- সব বেসরকারি হাসপাতাল ফ্রী চিকিৎসা করার জন্য রাজি আছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের রোগীর মধ্যে বৈষম্য করা হবেনা সবাই সমান সেবা পাবে।
- পুলিশি টহল বাড়ানো হবে।
- হোটেল গুলোতে আবাসন সীমিত করা হয়েছে, কোন পর্যটক রাখা যাবেনা।
- বিপনী বিতানসমূহ বন্ধ থাকবে শুধু ঔষধ ও খাবারের দোকান খোলা থাকবে।
- ক্রেতাদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ২ মি.(একজন থেকে আরেকজন)মেনে জিনিস ক্রয় করতে হবে।
- যারা চাকুরী হারিয়ে বেকার হয়েছেন তাদের বেকার ভাতা দেয়া হবে।
- খেলাধুলার সকল টুর্নামেন্ট ও ইভেন্ট বন্ধ থাকবে।
- সব খেলার মাঠ বন্ধ থাকবে।
- সমস্ত অপ্রয়োজনীয় খুচরা আউটলেটগুলি বন্ধ থাকবে
- মসজিদ,মন্দির ও গীর্জার সীমিত সংখ্যক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে তবে সামাজিক দূরত্ব ২ মিটার বজায় রাখতে হবে।
- সবাইকে ঘরে থাকার জন্য বলা হয়েছে কারণ এটাই একমাত্র উপায় ভাইরাসের বিস্তার রোধ করার জন্য।
- সরকারি ঘোষণা দেবার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন এই দূর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে হবে।
- প্রধানমন্ত্রী বলেন এই নতুন বিধি নিষেধ আরোপকে আমি লকডাউন বলতে চাইনা কারণ এটি জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। আমরা জনগনকে বিভ্রান্ত না করে সবকিছু খোলাসা করে বলতে চাই।
ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশী পরিবারগুলো নিজেদের মধ্যেও ফোন ও ফেজবুক যোগাযোগ ছাড়া সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এপ্রিলের ১৪ তারিখে কিলকেনির বাংলা মেলা ২০২০ সহ আয়ারল্যান্ডের সকল সামাজিক অনুষঠান স্থগিত করা হয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে স্থগিত করা হলো বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজ। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড সরকারের পরামর্শে এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশী খাদ্যের গ্রোছারী গুলোতে কিছুটা মূল্য বেড়েছে। আইরিশ খাবারের কিছুটা সংকট থাকলেও দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। সরকার করোনা মোকাবেলা করার জন্য গত সাপ্তাহে জরুরী কভিড১৯ ভাতার ঘোষনা করেন।