
আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ গতকাল বুধবার ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে নূতন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬, ৪২৮ জন আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৮ জন। গতকালের এই পরিসংখ্যান বিগত মহামারি কালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা গতকাল একদিনে ৪৭ জন বেড়ে সর্বমোট কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৮ জন। আই সি ইউতেও রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, গতকাল আই সি ইউতে একজন বেড়ে সর্বমোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ জন। গত এক সপ্তাহে কোভিডে মারা গেছেন ২২জন।
কোভিড সংক্রমণের এই পরিসংখ্যান হতাশার চিত্র প্রকাশ করেছে। ক্রিসমাসের সময় সামাজিক যোগাযোগের কারণে আগামী কয়েকদিন সংক্রমণের এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিকে হাসপাতালে রোগীর সেবায় যারা নিয়োজিত সেই সকল কর্মীদের মধ্যেও সংক্রমণ বাড়ছে, যার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ক্রিসমাসের পূর্বের সপ্তাহে এই অসুস্থের সংখ্যা ছিল ৩৮০০ জন। আগামী সপ্তাহে এই সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আশার কথা যে, আয়ারল্যান্ডে প্রায় ৯২% মানুষ টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এবং বুস্টার টিকা দেয়ার কাজ চলছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে, যে কোনভাবেই হোক প্রতিটি নাগরিক যেন বিধিনিষেধ মেনে চলেন। যতটুকু সম্ভব সামাজিক মিলামেশা না করেন। মাস্ক পরিধান করেন। হাত ধুয়াধুয়ির কাজ অব্যাহত রাখেন। কেউ বাজারে যাবার প্রয়োজন হলে, যে সকল দোকান পাটে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে সেখানে যাওয়াই নিরাপদ। খুব প্রয়োজন না হলে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
যারা অন্য দেশ থেকে এসেছেন তারা যেন, আসার পর পরবর্তী ৫ দিন প্রতিদিন কোভিডের এন্টিজেন টেস্ট করেন। যদি কেউ পজিটিভ হয়ে পড়েন তাহলে যেন স্বাস্থ্যকর্মির সাথে যোগাযোগ করেন। প্রয়োজনে পি সি আর করে নিশ্চিত করুন।

হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাবৃদ্ধি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে দ্রুতই স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়তে পারে তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব নিজেকে সুরক্ষিত রেখে দেশকে সুরক্ষা প্রদান করা।
এদিকে যুক্তরাজ্যেও গতকাল সংক্রমনের নূতন রেকর্ড হয়েছে। গতকাল একদিনে সংক্রমণের এই পরিসংখ্যান ছিল ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৩৭ জন যা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে এবং গতকাল মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। পার্শ্ববর্তী দেশের এই পরিসংখ্যান ভয়াবহ বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের সাথে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সীমানা খোলা থাকার কারণে অনিয়ন্ত্রিত যাতায়াত আয়ারল্যান্ডের আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণকে শঙ্কাযুক্ত করে দিয়েছে।

ফ্রান্সেও রেকর্ড হয়েছে গতকাল, একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২ লক্ষ ৮, ০০০ জন । বস্তুত সমগ্র ইউরোপ জুড়ে বইছে সংক্রমণের নূতন ঢেউ স্পেন, ইটালি, পর্তুগাল, গ্রীস, সাইপ্রাস ও মাল্টায় গতকাল সংক্রমনের নূতন রেকর্ড হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও গতকাল ২ লক্ষ ৬৫,০০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এর আগের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ২,৫০,০০০ জন।
তথ্যসূত্রঃ আর টি ই, বি বি সি, দাঁ গার্ডীয়ান, জন হপকিন্স, ফ্রান্স ২৪