হামিদুল নাসিরঃ আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টের জনক ও লন্ডন বাংলা টিভির প্রতিষ্ঠাতা ফিরোজ খান আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাহ ইলাহি রাজিউন। তিনি ম্যানচেস্টারে এক হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
ফিরোজ খান। তিনি ছিলেন উদ্যোক্তা ও সফল ব্যাবসায়ী। ছোট্র এই আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশীদের বসবাসের সুচনা থেকেই তিনি একজন।আয়ারল্যান্ডে তিনিই প্রথম ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন। ফিরোজ খান সাহেব ডাবলিন, গলওয়ে, কর্ক সহ অনেকে শহরে অত্যাধুনিক সাজ সজ্জায় গড়ে তুলেছিলেন ইষ্টার্ন তান্দুরী নামের ব্রান্ড। আইরিশদের মাঝে এই ইন্ডিয়ান কারীকে পৌছে দেওয়ার এক মহা কারিগর। আজ আয়ারল্যান্ড অনেক বড় বড় সম্মানিত মানুষ আছেন, ব্যাবসায়ী হিসাবে পরিচিত হয়েছে। এক সময় ফিরোজ খান ছিলেন তাদের গুরু, শিক্ষক, বা মেন্টর। ফিরোজ খান যখন আয়ারল্যান্ড থেকে ইউকে চলে যান, তখন তিনি উনার সাথে দীর্ঘ দিন কাজ করা ষ্টাফদের কাছে উনার সখের রেষ্টুরেন্টগুলি বিক্রি করে তাদেরকেও নতুন সুযাগ করে দেন। ওয়ার্ক পারমিটে তিনি অনেক বাংলাদেশী আয়ারল্যান্ডে নিয়ে আসেন। পরবর্তিতে তারাই আবার ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টের নামে ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে আরো অনেক লোক নিয়ে আসেন।
ইউকে গিয়ে ম্যানচেস্টারে বিশাল গ্রোসারি ব্যাবসা ও লন্ডন শহরে প্রথম বাংলা স্যাটেলাইট টেলিভিশন খোলেন। অনেক গুনের অধিকারী ছিলেন।
১৯৯৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে বাংলা টিভি চালু হলে ম্যানচেস্টারের একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে ২০০০ সালে তিনি মালিকানায় সম্পৃক্ত হন। ২০০১ সালে বাংলা টিভির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। ২০১০ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন।
২০১০ সালে এক মামলার পর তিনি মিডিয়া জীবন এবং কমিউনিটি থেকে হারিয়ে যান।
ফিরোজ খানের বোনের মেয়ে অভিনেত্রী জয়া আহসান।