ইসলামের দৃষ্টিতে ‘স্বাধীনতা ও বিজয়’ অর্জনের গুরুত্ব

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ‘স্বাধীনতা ও বিজয়’ অর্জনের পেছনে লুকিয়ে থাকে বিস্তর ইতিহাস। যেমন ত্যাগ-তিতিক্ষার, হাসি-কান্নার, আনন্দ-বেদনার এবং অর্জন-বর্জনের ইতিহাস।

ইসলাম বিজয় উদযাপনের বিরোধী নয়। বরং দেশের স্বাধীনতা অর্জন ও বিজয় উদযাপন উপলক্ষে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং ক্ষমা প্রার্থনা করাই ইসলামের নির্দেশ। তাছাড়া বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হুব্বুল ওয়াত্বানে মিনাল ঈমান’। অর্থাৎ ‘দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ’। আর দেশপ্রেমের সঙ্গে স্বাধীনতা ও বিজয় এক সুতোঁয় গাঁথা।

যদিও বর্তমান সময়ে অনেকেই মনে করেন যে, বিজয় দিবস উদযাপন মানেই ইসলামের অবমাননা। বিষয়টি তা নয়; কারণ বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেও বিজয় দিবস উদযাপন করেছিলেন।

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) ইসলাম প্রচারের কারণে নিজের মাতৃভূমি ত্যাগ করে হিজরত করেছিলেন মদিনায়। দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর সফলতার সঙ্গে নিজ দেশ স্বাধীন করেন। অর্জন করেন মহান স্বাধীনতা ও বিজয়।

মক্কা বিজয়ের আনন্দে প্রথমেই তিনি ৮ রাকাআত নামাজ আদায় করেছিলেন। আর তিনি এত অধিক পরিমাণে আনন্দ লাভ করেছিলেন যা ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়।

তাইতো মক্কা বিজয়ের আনন্দে তিনি সেদিন ঘোষণা করেন, ‘যারা কাবা ঘরে আশ্রয় নেবে তারা নিরাপদ। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি মক্কার সম্ভ্রান্ত কয়েকটি পরিবারেও যারা আশ্রয় নেবে; তারা যত অত্যাচার নির্যাতনকারীই হোক তারাও নিরাপদ। এ ছিল প্রিয় নবী রাসূলুল্লাল্লাহ (সা.) এর মক্কা বিজয়ের আনন্দ উৎসব উদযাপন।

SHARE THIS ARTICLE