আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃআসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর, ১৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার দিয়ে শুরু হচ্ছে ট্রেন যাত্রা। আগামীকাল বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে এসব আন্তঃনগর ও মেইল কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। রেলওয়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যেসব আন্তঃনগর ট্রেন চলবে
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/তূর্ণা ও মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, ঢাকা- দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা- তারাকান্দি রুটে যমুনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, সিলেট-ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস।
ঢাকা-মোহগনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন রুটে একতা এক্সপ্রেস ও দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রূপসা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ভাঙা রুটে মধুমতী এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে তিতুমির এক্সপ্রেস, রাজশাহী–ঢালারচর রুটে ঢালারচর এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোবরা রুটে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি রুটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন-রাজশাহী রুটে বাংলাবান্দা এক্সপ্রেস এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন ঢাকা রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
যেসব মেইল ট্রেন চলবে
অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল ও কর্ণফুলী কমিউটার, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে সাগরিকা কমিউটার, ঢাকা-জারিয়া ঝাঞ্জাই রুটে বলাকা কমিউটার, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে জামালপুর কমিউটার, ঢাকা-সিলেট রুটে সুরমা মেইল, ঢাকা-আখাউড়া রুটে তিতাস কমিউটার, ঢাকা-দেওয়নগঞ্জ বাজার রুটে দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, চট্টগ্রাম-বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রুটে ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মহুয়া কমিউটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ঢাকা কমিউটার, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রকেট মেইল, খুলনা-রহনপুর-খুলনা-গোয়ালশ রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-সান্তাহার রুটে পদ্মরাগ, পারবতীপুর-রাজশাহী রুটে উত্তরা এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট-বিরল রুটে বিরল কমিউটার, লালমনিরহাট-সান্তাহার-বগুড়া কমিউটার এবং বোনারপাড়া-সান্তাহার কলেজ ট্রেন।
যেসব শর্ত মানতে হবে
মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব ও পশ্চিম) বরাবরে পাঠানো এক চিঠিতে রেলওয়ের উপপরিচালক (অপারেশনস) মো. রেজাউল হক বেশকিছু নিয়ম মেনে ট্রেন চলচলের কথা উল্লেখ করেছেন।
নিয়মগুলো হচ্ছে— যাত্রার দিনসহ ৫ দিন আগে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট একসঙ্গে অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। কাউন্টার হতে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে না। অনলাইন এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রিত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না, বা ফেরত নেওয়া হবে না। আন্তঃনগর ট্রেনে সব ধরনের স্ট্যান্ডিং টিকিট ইস্যু সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণ ক্ষমতার শতকরা ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করতে হবে। রাত্রীকালীন ট্রেনে বেডিং সরবরাহে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে জারিকৃত সব বিধিনিষেধ পালন নিশ্চিত করতে হবে।
বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার (চিপস, বিস্কিট ইত্যাদি) সরবরাহ করা যাবে।
এতে আরো বলা হয়, এইচওআর, রেলওয়ে পাস এবং মিলিটারি ওয়ারেন্টের টিকিট পূআগের মতো ইস্যু করার ব্যবস্থা নিতে হবে। ২ শতাংশ টিকিট রেলওয়ের কর্মচারীদের জন্য যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে (কাউন্টার হতে ইস্যুর ব্যবস্থা রাখতে হবে)। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে কোনও কর্মচারী জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কমিউটার ও মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাউন্টার থেকে বিক্রি করতে হবে। প্লাটফরমে প্রবেশকালে ও ট্রেনে যাত্রীরা যাতে অবশ্যই মাঙ্ক পরিহিত অবস্থায় থাকেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
চিঠিতে রেজাউল হক আরো বলেন, ট্রেনে আরোহণ ও অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে। কুলি, ট্রলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। ট্রেনের প্রতিটি কোচ ও ইঞ্জিন চলাচলের আগে স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ সকল ট্রেন পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সময় সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের জারি করা নির্দেশনাগুলো ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রন পরিচালনা করতে হবে।