এমপি আনার হত্যায় ফেঁসে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৬ নায়িকা, উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে নতুন নতুন ঘটনা বেরিয়ে আসছে। এবার জানা গেল চাঞ্চল্যকর আরেকটি তথ্য। এই হত্যাকাণ্ড তদন্তে বাংলাদেশের ছয় জন নায়িকা ও মডেলের নাম উঠে এসেছে। তারা নজরদারিতে আছেন। খুব শিগগরিই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, কলকাতার পুলিশের বরাত দিয়ে ডিবি জানতে পেরেছে, কলকাতার পঞ্চলা ও গৌরবতীর ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের ছয়জন নায়িকা ও মডেলকে শাহীন নিয়ে গিয়েছিলেন।

আরো জানা গেছে, এদের মধ্যে এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছিলেন আনার। ঐ নায়িকা কলকাতার একাধিক ছবিতে অভিনয় করে সুনামও কুড়িয়েছেন। নায়িকার বয়স ৩০ এর কোটায়। বাংলাদেশি ঐ নায়িকা চলনে-বলনে স্মার্ট বলে পরিচিত।

এদিকে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের খুনের অন্যতম হোতা সিয়াম এখন ভারতের সিআইডির হেফাজতে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি ও বাংলাদেশের ডিবি পুলিশকে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউ টাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ।

গত ২২ মে শেরেবাংলা নগর থানায় নিহত সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে অপহরণ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতারের পর গত ২৪ মে আসামি শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

পরে গত ৩১ মে দ্বিতীয় দফায় তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

বর্তমানে তারা কারাগারে আটক রয়েছেন। এছাড়া এ মামলায় গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহের কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

এদিন আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হয়। তার রিমান্ড চলমান।

SHARE THIS ARTICLE