আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বিশ্বের ২৩টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এটি শনাক্ত হয়। এরপর বেশ দ্রুততায় বিভিন্ন দেশে নতুন এই করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে আফ্রিকা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ প্রায় ৭০টি দেশ।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রন প্রথম শনাক্তের পর আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে থাকে বিভিন্ন দেশ। এখন পর্যন্ত ৭০টি দেশ ওই অঞ্চল থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হলেও এটি প্রথম কোথায় এবং কখন উৎপত্তি হয়েছে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী যে ২৩টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে, দেশগুলো হলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রাজিল, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, নরওয়ে, পর্তুগাল, সৌদি আরব, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ প্রায় ৭০টি দেশ ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে আফ্রিকা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত ২৩টি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যেসব ব্যক্তিদের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে তাদের অধিকাংশই সম্প্রতি আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোতে ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, প্রাথমিক পাওয়া তথ্য-প্রমাণ দেখে সংস্থাটি মনে করছে, ওমিক্রনে পুনর্সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। আর বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনার বিদ্যমান টিকায় বার বার রূপ বদল করা এই ধরনটি কেমন প্রভাব ফেলবে তা জানার জন্য তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।
সংস্থাটি বলেছে, এখন পর্যন্ত ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়ে কেউ মারা যায়নি। তবে এই ধরনটির ক্ষেত্রে করোনা টিকা এবং ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শরীরে যে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে তা কার্যকর হবে কিনা তা জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। ওমিক্রনে নজিরবিহীন স্পাইক মিউটেশন ঘটেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন এমন যে তা পুরো মহামারীর গতিপথ বদলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সব মিলিয়ে বলা যায়, এটির বৈশ্বিক ঝুঁকি খুব বেশি।
ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে সতর্কতা ও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলার পাশাপাশি সংস্থাটি আহ্বান জানিয়েছে, নতুন এই ধরনের বিস্তার ঠেকাতে নেওয়া বিধি-নিষেধগুলো যেন যুক্তিসঙ্গত হয়।
এদিকে করোনা টিকা তৈরিকারী কোম্পানি বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উগুর শাহিন বলেছেন, টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে টিকা গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে সুরক্ষা দেবে।