আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ২৭শে জুন ২০২০ বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি অতিক্রম করলো, একই সাথে করোনায় শনাক্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও ৫ লক্ষ ছাড়িয়ে গেলো। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়ে ফিরেছেন নূতন জীবনে তাদের সংখ্যাও ৫৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৩ জনে এসে দাঁড়ালো। বৈশ্বিক মহামারী কোভীড-১৯ প্রথম রোগী চীনে শনাক্ত হয়েছিলো ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে । তারপর চীন থেকে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ ও আমেরিকায়।শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে এখনো আমেরিকা বিশ্বে সর্বোচ্চ। আমেরিকায় শনাক্ত হয়েছে আজ পর্য্যন্ত ২৫ লক্ষ ৯০ হাজার আর মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার ১০৮ । এরপর শনাক্তের ও মৃতের সংখ্যায় ২য় স্থানে আছে ব্রাজিল, সেখানে আজ পর্য্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৬৬৭ আর মৃত্যুবরণ করেছে ৫৭ হাজার ৭০ জন। শনাক্তের সংখ্যার সারিতে এর পর আছে রাশিয়া ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬৪৬ এবং তারপরই ভারত ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৭৭। মৃত্যুর সারিতে ৩য় স্থানে নেই রাশিয়া কিংবা ভারত বরং এই স্থান নিয়েছে যুক্তরাজ্য, সেখানে মৃতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৫১৪। ইউরোপের অনেক দেশে সংক্রমণের হার কমে আসলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এই সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে, এরপরই দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে ভারত। প্রায় ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বিশ্বে এখনো এই রোগের কোন কার্য্যকরী চিকিৎসা কিংবা ভ্যাক্সিন আবিষ্কৃত হয় নি। যে কয়েকটি ঔষধ কিছুটা কার্য্যকরী হয়েছে তারমধ্যে ডেক্সামেথাসোন ও এনোক্সাপারিন অন্যতম। এই দুটো ঔষধের একটিও এন্টি ভাইরাল মেডিসিন নয়। একটি হচ্ছে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণকারী আর অন্যটি রক্ত জমাট বাধা প্রতিহত করে। এর পর দুটো এন্টিভাইরাল মেডিসিনের কিছুটা কার্য্যকরীতা আছে এই দাবী করে বাজারজাত করা হয়েছে রেমডেসিভির ও ফেভিপিরাভির। এছাড়া মনোক্লোনাল এন্টিবডি টসিলিযুম্যাবও ব্যাবহৃত হচ্ছে ইমিউন দমনকারী হিসাবে। কিছু ক্ষেত্রে কভালেসেন্ট প্লাজমা ব্যাবহৃত হচ্ছে কিন্তু এর কার্য্যকরীতা এখনো অজানা। সারা বিশ্ব আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের আশায়। প্রতিদিন সংবাদপত্র খুললে দেখা যায় বিভিন্ন দেশে ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে এই ধরনের প্রচারণা চলছে। এগুলো শুধুই বুলি নাকি সত্যি সেটা দেখতে হলে আমাদের অন্যূন আরও ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতেই হবে। কিন্তু এই সময়ে কত জীবনের অবসান হবে সেটা স্রষ্টা ব্যাতীত কেউই আজ বলতে পারেনা। পরিসংখ্যানসূত্রঃ ওয়ার্ল্ডোমিটার