আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে ফরচুন বরিশাল চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। তামিমের হাতে বিপিএল শিরোপা উঠার মাধ্যমে ফাইনালে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। এর আগে তিনবার ফাইনাল খেলেও তিনবারই পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয় বরিশালকে।
এর আগে শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তুলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন অঙ্কন।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লা ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১৫৪ রান। এটা যে লড়াই করার মতো স্কোর ছিল না, সেটা বোঝা গেছে বরিশালের ইনিংসের শুরুর দিকেই। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের উদ্বোধনী জুটি তুলে ফেলে ৫৯ রান। দারুণ এই শুরুর পর কাইল মায়ার্সের ৪৬ রানে শেষ পর্যন্ত ৬ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতে শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতেছে তামিমের দল।
কুমিল্লার করা ১৫৪ রান তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় বরিশাল। শুরু থেকেই কুমিল্লার বোলারদের মেরে খেলতে থাকেন তারা। দুজনের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দলীয় ৭৬ রানে। এ সময় মঈন আলির বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। মিরাজও শিকারে পরিণত হন মঈন আলির। তামিম ৩৯ ও মিরাজ করেন ২৯ রান। ২ উইকেট চলে যাওয়ার পর কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে এগোতে থাকে বরিশালের রানের চাকা। এরমধ্যে মেয়ার্স দুবার জীবন পান। মঈন আলির ওভারে একবার রিশাদ হোসেন, আরেকবার জনসন চার্লজ তার ক্যাচ ছাড়েন।
জীবন পেয়ে জয়ের খুব কাছে চলে গেলেও মেয়ার্স বরিশালকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪৬ রানে তিনি শিকার হন মুস্তাফিজুর রহমানের। মুশফিকুর রহিমও ফিজের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন, ১৮ বলে তিনি করেন ১৩ রান। বাকি কাজটা শেষ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ডেভিড মিলার। মিলার ৮ ও রিয়াদ করেন ৭ রান। তারা দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
এর আগে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে কুমিল্লা। ১৪ বলে রাসেল করেন ২৮ রান। যদিও শেষদিকে বেশ কয়েকটি ডট খেলেন তিনি। ২৩ বলে ২০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন জাকের আলি।
এদিকে ম্যাচের শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা। দলীয় ৬ রানে ৪ বলে ৫ রান করে আউট হন সুনীল নারিন। এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস।
তবে দলীয় ৪২ রানের মধ্যে আরও দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দলটি। হৃদয় ১০ বলে ১৫ ও লিটন ১২ বলে ১৬ রান সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় কুমিল্লা। দলীয় ৬৫ রানে জনসন চার্লস ও ৭৯ রান মঈন আলী আউট হন। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের কুমিল্লার ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেন মাইদুল অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক।
৩৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১১৫ রানে ৩৫ বলে ৩৮ রানে করে আউট হন মাইদুল অঙ্কন। এরপর ক্রিজে এসে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন রাসেল। শেষ ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা।
রাসেল ১৪ বলে ২৭ ও জাকের আলি ২৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের পক্ষে জেমস ফুলার নেন ২টি উইকেট।