আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সূচনা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর চেয়ে প্রায় ২২ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন।
ভোটে জয়ের পর তিনি বলেছেন, “আমি ইনশাল্লাহ শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে আমার কাজের মাধ্যমে এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করব।”
শনিবার দিনভর ইভিএমে ভোটগ্রহণ শেষে জিলা স্কুল মিলনায়তন থেকে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নতুন কৌশলে এবারের সিটি ভোটে দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন বা দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়নি। সূচনা তাই নির্বাচন করেন স্বতন্ত্র হিসেবে বাস প্রতীক নিয়ে।
১০৫টি কেন্দ্রের ফলাফলে সূচনা পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট। আর টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাক্কু পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৯৭ ভোট।
নির্বাচনের অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে ১৩ হাজার ১৫৫ ভোট এবং কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি নুর-উর রহমান মাহমুদ তানিম হাতি প্রতীকে ৫ হাজার ১৭৩ ভোট পেয়েছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে এবার ভোটার ছিল মোট ভোটার দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। ভোটের হার ৩৯ শতাংশ, যা গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে কম।
২০২২ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আরফানুল হকের কাছে শ তিনেক ভোটে হেরেছিলেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু। আরফানুল হক গতবছর মারা যাওয়ায় সেই শূন্য পদে উপ নির্বাচন হল শনিবার।
গত নির্বাচনে সাক্কুর হারের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সারের। প্রথমবার এসেই ২৯ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। ফলে বিএনপির ভোট ভাগ হয়ে সুবিধা পায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এবার কায়সারের ভোট কমে অর্ধেক হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থী থাকলেও তাতে জটিলতায় পড়তে হয়নি সূচনাকে। তানিমের হাজার পাঁচেক ভোট সূচনার জয়ে বাধা হতে পারেনি।
সাক্কু দুইবার মেয়র হয়েছিলেন কুমিল্লা আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা অধ্যক্ষ আফজল খান এবং তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে হারিয়ে।
প্রয়াত আফজল খান আর বাহাউদ্দিন বাহারের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কুমিল্লার রাজনীতিতে বহুল চর্চিত বিষয়। এই দুই নেতার দ্বন্দ্বের সুবিধা নির্বাচনে সব সময় বিরোধী পক্ষ পেয়েছে।
বলা হয়, বাহারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুফল সাক্কু দুইবার ভোটবাক্সে পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের নির্বাচনে বাহার সমর্থন দেন আরফানুল হককে।
আর এবার বাহারের নিজের মেয়েই প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের পুরোটা সময় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহারের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন বাকি তিন প্রার্থী।
বাবা বাহাউদ্দিন বাহার কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি, মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা হচ্ছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র
সাক্কু দুইবার মেয়র হয়েছিলেন কুমিল্লা আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা অধ্যক্ষ আফজল খান এবং তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে হারিয়ে।
প্রয়াত আফজল খান আর বাহাউদ্দিন বাহারের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কুমিল্লার রাজনীতিতে বহুল চর্চিত বিষয়। এই দুই নেতার দ্বন্দ্বের সুবিধা নির্বাচনে সব সময় বিরোধী পক্ষ পেয়েছে।
বলা হয়, বাহারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুফল সাক্কু দুইবার ভোটবাক্সে পেয়েছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালের নির্বাচনে বাহার সমর্থন দেন আরফানুল হককে।
আর এবার বাহারের নিজের মেয়েই প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের পুরোটা সময় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহারের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন বাকি তিন প্রার্থী।