আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রবিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ইং বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাস দ্বারা এ পর্যন্ত ২ কোটি ৯১ লক্ষের বেশি লোক সংক্রামিত হয়েছে এবং ৯ লক্ষ ২৬ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে বলে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যে জানা গেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম কোভিড-১৯ এর রোগী শনাক্তের পর বিগত ৯ মাসের বেশী সময়ে এই রোগ বিশ্বের ২১০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক সংখ্যক আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে রয়েছে, তার পরে ভারত এবং ব্রাজিল।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমন বৃদ্ধিঃ শনিবার ফ্রান্সে ১০, ৫৬১ জন আক্রান্তের রেকর্ড গড়ার পর আজ রবিবার তা কিছুটা কমে গিয়ে ৭১৮৩ তে এসে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যে আবার বাড়ছে সংক্রমণ, গত মে মাসের পর প্রথমবারের মতো টানা তৃতীয় দিনের জন্য কোভিড-১৯-এর নতুন আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি হয়েছে, আজকের শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৩৩০। কয়েক সপ্তাহ আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি সংঙ্ক্রমণ হওয়ায়, কর্তৃপক্ষ দৈনন্দিন জীবনে বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ জোরদার করেছে।উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্য সরকার ইংল্যান্ডে সোমবার থেকে বাড়ির ভিতরে কিংবা বাহিরে ৬ জনের বেশী মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে, এই নিয়ম ভঙ্গকারীরা জরিমানার মুখোমুখি হবেন।
জার্মানীতেও বাড়ছে সংক্রমণ, আজ নূতন সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৭০১।
আয়ারল্যান্ডেও বাড়ছে সংক্রমণ, আজকের নূতন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫৫ জন।
এছাড়া অস্ট্রিয়া, ইটালি, স্পেনেও উর্ধগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে আজকের একদিনের সংক্রমণের সংখ্যা ২৮, ৮০৪ আর মৃতের সংখ্যা ৩৩৬।
ভারতে আজ এক দিনে শনাক্ত হয়েছে ৯৩,২১৫ আর মৃত্যুবরণ করেছে ১১৪০।
ব্রাজিলে আজকের দিনে শনাক্ত হয়েছে ১৪,৫৯৭ আর মৃত্যুবরণ করেছে ৩৫১ জন।
বাংলাদেশে আজ নূতন শনাক্তের সংখ্যা ১৪৭৬ আর মৃত্যু ৩১।
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় উদ্বিগ্নতা বেড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে আগামী দিনগুলোতে ফ্লু’র প্রকোপ বাড়বে আর সেই সাথে কোভিডের প্রকোপ বেড়ে গেলে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা ব্যাবস্থা আবারও বিপর্য্যস্ত হয়ে পড়তে পারে।
বিগত ৯ মাসের বেশী সময়ে কোভিড-১৯ প্রতিরোধের উপায়গুলোর মধ্যে লক ডাউন, ঘরে বসে কাজ করা, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরিধান আর হাত ধুয়া ধুয়ি ছাড়া আর কোন পদ্ধতি এখনো সফলতা অর্জন করতে পারেনি।
অন্যদিকে রোগ নিরাময়ে বিজ্ঞানীদের ব্যর্থতা এখন সার্বজনীন। রেমডিসিভির কিংবা ফেভিপিরাভির যে তেমন কোন কার্য্যকর ঔষধ নয় তা এখন মুটামুটি নিশ্চিত। শুধুমাত্র স্টেরোয়েড আর রক্ত পাতলা করার ঔষধ, মারাত্নক সংক্রমণের ক্ষেত্রে জীবন রক্ষায় বেশ কার্য্যকরীতা প্রমাণ করেছে। মুটামুটিভাবে অক্সিজেনই সম্বল।
এদিকে অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিনের ৩য় ধাপের পরীক্ষা স্বল্প সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু করা হলে জনমনে আশার সঞ্চার হয়েছে। কেউ কেউ ভাবছেন, তাহলে কি ভ্যাক্সিনের উপরেই শেষ ভরসা? কিন্তু যদি আগামী মাসের শেষের দিকে ভ্যাক্সিনের সফলতা পাওয়াও যায় তবুও সেটা বাজারজাত করে মানুষের শরীরে পৌঁছে দিতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। ততদিনে কোভীড-১৯ কি অদম্যই থেকে যাবে নাকি পুনরায় দেশে দেশে লক ডাউন দেয়া হবে সেটা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদরা কি সিদ্ধান্ত নেন তা দেখার বিষয়।