আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে এবারের কোরবানির পশুর চামড়া। মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে তেমন বের হননি। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গরীব মানুষদের চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
গত শনিবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে কাঁচা চামড়া কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। এখানে প্রতিটি বড় গরুর চামড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি চামড়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও ছোট দেড়শ থেকে ৩০০ টাকা। প্রতিটি খাসির বড় চামড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও ছোট চামড়া ২০ থেকে ২৫ টাকায় কিনছেন ব্যবসায়ীরা।
অথচ চামড়া খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিবর্গ ফুট গরুর লবণযুক্ত চামড়া ঢাকায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করে। আর খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা ও বকরি ১০ থেকে ১২ টাকা দর নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এই নির্ধারিত দামে ঢাকায় লবণ ছাড়া প্রতিটি ছোট গরুর চামড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি গরু ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও বড় গরু ১২০০ থেকে দেড় হাজার টাকার উপরে বিক্রি হওয়ার কথা। ঢাকার বাইরে ছোট চামড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ও বড় চামড়া ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা। আর ছাগলের চামড়া অনেকটা পানির দামে বিক্রি হচ্ছে।
গত বছর নির্ধারিত দরে বিক্রি না হওয়া কাঁচা চামড়ার বড় বিপর্যয় নেমেছিল। এবারও প্রায় একই অবস্থা শুরু হয়েছে। এবার করোনার কারণে অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম পশু কোরবানি হয়েছে। এর পরেও কম দাম দিলে চামড়া সংগ্রহ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।