
আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাল ডলার তৈরি করার কাজে হাত দেয়া উচিত কিনা সেই বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে ফেডারেল রিজার্ভের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। খবর রয়টার্স।
প্রশাসনের ইচ্ছাকৃত ও সামগ্রিক এ উদ্যোগ বিষয়ে এমন খবর প্রকাশের পর পরই বাজারে সবার মধ্যে থাকা হঠাৎ করে ক্রিপ্টোকারেন্সির নিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ার ভয় প্রশমিত হয়। ফলে ২৮ ফেব্রুয়ারির পরে বিটকয়েনের মূল্য সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। ভার্চুয়াল এ মুদ্রার দাম ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৪২ হাজার ২৮০ ডলারে পৌঁছেছে।
বাইডেনের এ নির্দেশ অনুসারে, ট্রেজারি বিভাগ, কমার্স বিভাগ এবং অন্যান্য মূল সংস্থাগুলোকে অর্থের ভবিষ্যৎ নিয়ে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সেখানে কী ধরনের ভূমিকা পালন করবে সে বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার গত নভেম্বরে ৩ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রতিযোগিতা বজায় রাখার জন্য সেই বাজারের বিস্তৃত তত্ত্বাবধান করা জরুরি। পাশাপাশি সাইবার অপরাধের ক্রমবর্ধমান হুমকি বন্ধের জন্যও সেটা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, এ প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরো স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দক্ষ অর্থ ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করা হবে।
একজন উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সির বিস্তৃত জনপ্রিয়তা পর্যবেক্ষণ করছে জো বাইডেন প্রশাসন। তাই এ সময়কেই ডিজিটাল সম্পদের ঝুঁকি ও উপকারিতা বোঝার সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করছে তারা।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল সম্পদ জনগণ কীভাবে ব্যাংকিং সেবায় প্রবেশ করবে সেই বিষয়কে, গ্রাহকরা অস্থিরতা থেকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত কিনা এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন ডলার প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে কিনা সেসব বিষয়কে প্রভাবিত করতে পারে।
ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর ব্রিয়ান ডিজি ও হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সুল্লিভান এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ নির্বাহী আদেশ সেই সব প্রচেষ্টারই অংশ, যেগুলো দায়িত্বশীল উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে। পাশাপাশি সেখানে থাকা গ্রাহক, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের ঝুঁকিকে প্রশমিত করবে।
তবে এ আদেশের মূল লক্ষ্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেমেন্ট পদ্ধতির অদক্ষতাগুলোকে পুনরায় চিহ্নিত করা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো। বিশেষ করে দরিদ্র মার্কিন নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো, উচ্চ ফির কারণে যাদের ৫ শতাংশের বর্তমানে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টই নেই।
যদিও একটি ডিজিটাল ডলার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এবং সেটা বাজারে আনতে কয়েক বছর লেগে যাবে বলেই মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।