খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে —ড্যাব

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক দাবি করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। পাশাপাশি তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে সংগঠনটি। গতকাল বিএনপিপন্থী চিকিৎসক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, উচ্চরক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছেন। বর্তমানে তিনি লিভার জটিলতায় হাসপাতালে ভর্তি।

গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ড্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সত্ত্বেও উন্নত চিকিৎসার সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড একাধিকবার পরামর্শ দিয়েছে, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশে তাকে চিকিৎসা দেয়ার মতো আর কিছু বাকি নেই। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি দরকার, সেসব বাংলাদেশে নেই। ফলে খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে হলে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা অতি জরুরি। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। নতুবা খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে।

ড্যাব নেতারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৯ বছর। শর্তসাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও প্রবীণ বয়সেও খালেদা জিয়া কার্যত কারাবন্দি। তিনি দীর্ঘদিন নানা রোগে আক্রান্ত। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার পর তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘ চার বছর তার যথাযথ কোনো চিকিৎসা হয়নি। কারাগারে অমানবিক পরিবেশেও তিনি অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। হার্ট, লিভার, কিডনি ও চোখের সমস্যা ছাড়াও পুরনো আর্থ্রাইটিস এবং কভিড-১৯ আক্রান্ত ও কভিড-পরবর্তী জটিলতায় তার শারীরিক অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দেশের প্রথম সাবেক নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসক দল তার অসুস্থতার যে বিবরণ দিয়েছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মনে করি, দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী হিসেবে উপরন্তু একজন জেলবন্দি ব্যক্তির যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ।

SHARE THIS ARTICLE