
ডাঃ জিন্নুরাইন জায়গীরদারঃ কথা হচ্ছিলো “দাদা”র সাথে। এই দাদাকে আপনারা কেউ চিনবেন আর কেউ চিনবেন না। “দাদা” সমাজের অতীব গুরুত্ত্বপূর্ন কোন ব্যাক্তি নাহলেও তিনি সমাজের বিবেকের প্রতিফলন। তাই নাম না জানলেও তেমন কোন অসুবিধা হবেনা। দাদাকে আপনারা দ্রুতই চিনে নিতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস। মাঝে মাঝে সময় পেলে দাদার সাথে গল্প হয়। বাঙালীর আড্ডার মত। যদিও বাঙালির আড্ডায় দুজন হলে চলেনা আরও বেশী মানুষের প্রয়োজন হয়, তাই আমাদের দুজনের আলাপকে আড্ডার সংজ্ঞায় ছকে ছকে ফেলা যায়না। আমাদের গল্পের বিষয়বস্তু নানান সময় নানান রকম। “দাদা” দেশ বিদেশের খবরাখবর রাখেন এবং তার নিজস্ব কিছু চিন্তা, ভাবনা আছে, নীতি, নৈতিকতা আছে। নিজস্ব চিন্তা ভাবনা যাদের থাকে তাদের অনেকে যুক্তি তর্কের উপর ভিত্তি করেন। যুক্তি তর্ক তৈরি করতে হলে জ্ঞান লাগে। এই জ্ঞানের জন্য বিবিধ বিষয়ে পড়ালিখা অন্যতম। আমরা অনেকেই আজকাল আর পড়ালিখা করিনা। বি এ , এম এ পাশ করেই বিদ্যা শিক্ষার ইতি হয়ে যায়। দাদা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বাংলাদেশের পত্র পত্রিকা পড়েন। দেশ বিদেশের খবরাখবরও রাখেন। ফুটবল খেলার প্রতি উনার প্রচণ্ড আগ্রহ, প্রিমিয়ার লীগে উনি আবার আর্সেলানের ঘোর সমর্থক। প্রিমিয়ার লীগে গত কয়েকবছর থেকে আর্সেনাল ভালো করছেনা দেখে দাদার মন খুব খারাপ।
দাদাকে বললাম, “আচ্ছা দাদা! গত কয়েকদিন আগে কিলকেনীতে বাংলাদেশ স্পোর্টস এসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের (বি এস এ আই) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো “বিডি-সি ফুড গোল্ড কাপ” ফুটবল টুর্নামেন্ট, এটা কি আপনি শুনেছেন?” দাদা বললেন,”ফেইসবুকে দেখেছি যে খেলাটিতে অনেক গোলযোগ হয়েছে, ছবিতে আপনাকেও দেখলাম। আপনি থাকতে এত গণ্ডগোল হলো, থামাতে পারলেন না? কারা এসব গণ্ডগোল করে? এই গোল্ড কাপ ত বেশ ভালো উদ্যোগ। গোল্ড কাপ কে দিলো? “বিডি-সি ফুড” কি স্বার্থে এত মূল্যবান গোল্ড কাপ প্রদান করলো? আসলেও কি এটা গোল্ডের কাপ?”

আমি প্রশ্নের শেষের অংশের সূত্রে বললাম, “শুনেছি গোল্ড কাপ শুধু কথার কথা, এখানে এক রত্তিও সোনা ছিল না। দাদা বললেন, ”এটা ত ঠিক না, আপনি কি এই সংগঠনের সাথে জড়িত না? এসকল অনৈতিক কাণ্ড প্রতারণার শামিল, এগুলোর সাথে কি আপনিও জড়িত?” আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে বললাম, “গোল্ড কাপে কি সব সময় গোল্ড থাকে? গোল্ড কাপে গোল্ড থাকতেই হবে এটা কি একদম স্থির?”
দাদা অভিজ্ঞ লোক, প্রশ্ন বুঝেই বললেন, “দেখেন এখানে নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত। আপনি যদি ইতিহাস দেখেন তাহলে দেখবেন, ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ১৯৩০ সাল থেকে শুরু হয়ে দুটি ট্রফি ব্যাবহার করেছে। ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্য্যন্ত ব্যাবহৃত ট্রফির নাম প্রথমে ছিল “ভিক্টরি” যা পরবর্তীতে বদলিয়ে ফিফা সভাপতির নামে “জুলস রিমেট” রাখা হয়। ঐ ট্রফিটি ছিল স্টার্লিং সিলভার এবং ল্যাপিস লাজুলি দিয়ে তৈরি , যার উপরে পুরোটাই সোনার প্রলেপ (গোল্ড প্লেটেড) মোড়ানো ছিল। কাপের গায়ে আঁকা ছিল বিজয়ের দেবতা “নাইকি”র ছবি। ১৯৭৪ সালে এই কাপটি পর পর তিনবার বিজয়ের কারণে ব্রাজিল স্থায়ীভাবে পেয়ে যায়। ১৯৮৩ সালে এই কাপ চুরি হয়ে গেলে আর এখনো এই কাপটির হদিস পাওয়া যায়নি। বর্তমানের কাপটি ১৯৭৪ সালে তৈরি করা নূতন কাপ যার নাম “ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি”। এই কাপটির পুরোটাই ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি, যার ভিত্তিমূলে ম্যালাকাইটের ব্যান্ড, এটি ৩৬.৮ সেন্টিমিটার উঁচু এবং এর ওজন ৬.১ কিলোগ্রাম। এটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যে, দেখলে মনে হবে যেন দুজন মানুষ পৃথিবীটাকে হাতের মুঠোয় ধরে আছে।”

দাদা বললেন, “আমি জানি আপনি ভাবছেন আমি ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি”। আপনারা ভাববেন, “এটা আবার কি?” ধান ভানতে শিবের গীত হচ্ছে একটি বহুল প্রচলিত বাংলা বাগধারা, যার অর্থ হচ্ছে গুরুত্ত্বপূর্ন কথার সময় অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা করা। কথার পিঠে কথা এসে যায়, ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ মাগুরা জেলায় বিশেষভাবে প্রচলিত। গুপ্ত রাজত্বকালে রাজা বিক্রমাদিত্য, সমতটের নানা স্থানে শিবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। ক্রমেক্রমে এ অঞ্চলের লোক এত শৈব মতাবলম্বী হয়েছিল যে সকলে শিব পূজা করত, শিবের কথা বলত, শিবের গান গাইত। শিবের তত্ত্বকথা এমনভাবে সমাজে প্রবেশ করল যে, সকল ব্যাপারেই শিবের কথা চলে আসত। সেই থেকেই ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ এদেশের একটি প্রবাদ বাক্য হয়ে গিয়েছে। ধান যখন ভানা হয় তখন ধান ভানার গান হওয়ার কথা ঐ সময়ে ধর্মের কথা অপ্রাসঙ্গিক। এটাই বোঝানো।

আমি বললাম, “দাদা, আপনি বোঝালেন যে, ফিফা কাপ ট্রফি পুরোটাই সোনার। এটা জেনে জ্ঞানলাভ করলাম। কিন্তু নৈতিকতার ব্যাপার কি সেটা ত বোঝা হলোনা?” দাদা বললেন, “হ্যাঁ, নৈতিকতা হচ্ছে গোল্ড কাপের ঘোষণা দেবেন কিন্তু গোল্ডের কোন খবর থাকবে না এটা অনৈতিক বলেই আমি মনে করি। এটা এক ধরনের প্রতারণা। আপানকে আমি অনেক সূত্র দেখাতে পারব যেখানে গোল্ডের কথা বলা হয়েছে, সেখানে হয় সম্পুর্ন সোনা কিংবা নিদেনপক্ষে গোল্ড প্লেটেড অর্থাৎ সোনার প্রলেপ দেয়া হয়েছে। আমি মনে করি এই ন্যূন্যতম নৈতিকতাবোধ থাকা উচিৎ। গোল্ড কাপ বলে গোল্ডের ছিটেফোঁটা থাকবেনা এটা সম্পূর্ন অনৈতিক। গোল্ড কাপ না বলে “বিডি কাপ” বললে কি খুব ক্ষতি হয়ে যেত?”

আমি বললাম, “দাদা, আমার কাছে নৈতিকতা ব্যাপারটা খুব গোলমেলে মনে হয়। একটা গল্প বলি, বোধিস্বত্ত্বের গল্প। বোধিস্বত্ত সম্পর্কে নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে, গৌতম বুদ্ধ পূর্বজন্মে বোধিস্বত্ত্ব ছিলেন। একবার বোধিসত্ত্ব সোনার হরিণ হয়ে জন্মালেন এবং তিনি গভীর জঙ্গলে বাস করতে লাগলেন। বোধিস্বত্ত্ব হরিণের চামড়া ছিল ঝলমলে সোনার, চোখের মনি ছিল নীলাকান্তের নীলমনি, তার শিং এবং খুরগুলি পর্য্যন্ত মূল্যবান পাথরের দীপ্তিতে উজ্জ্বল ছিল।”

বোধিসত্ত্ব বুঝতে পেরেছিলেন যে তার এই চকচকে চেহারা মানুষ দেখলেই তার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং তারা তাকে মেরে সোনার পশম ঝুলাবে দেয়ালে, চোখ রাখবে সিন্দুকে, সিং রাখবে কাঁচের আলমিরায় আর খুর হয়ত লাগাবে দরজায়। তাই তিনি গভীর জঙ্গলে থেকে সকল পশুপ্রাণীর রাজা হিসাবে তাদের কিভাবে শান্তিতে নিজেদের সুরক্ষিত রেখে বনে সুন্দর জীবন যাপন করা যায় তাই শিখাচ্ছিলেন।
একদিন হলো কি, বোধিস্বত্ত্ব একজন মানুষের আর্তচিৎকার শুনতে পেলেন। ঐ লোকটাকে নদীর স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল আর সে বাঁচার জন্য আর্ত চিৎকার করছিলো। বোধিস্বত্তের মায়া হলো, তাই ঐ স্রোতে নেমে একটি কাঠের খাড়ি তার দিকে বাড়িয়ে দিলেন। ঐ খাড়ি ধরে মানুষটি বেঁচে গেলো, হরিণ তার পিঠে নিয়ে মানুষটিকে ডাঙ্গায় তুললেন এবং তার সোনার চামড়া দিয়ে উষ্ণ করলেন। লোকটি কৃতজ্ঞতাবোধে আবিষ্ট হয়ে বললেন, “তুমি আমার জীবন বাঁচিয়ে দিলে, নাহলে আজ আমার নির্ঘাত মৃত্যু ছিল। তোমার জন্য আমি আজ প্রাণে রক্ষা পেলাম। এখন আমি তোমার জন্য কিছু করতে চাই। যদি সুযোগ পাই এই ঋণ পরিশোধের।” বোধিস্বত্ত্ব বললেন, ”তোমার নিকট আমি একটা কথা চাই, আর সেটা হচ্ছে আমার সম্পর্কে কোন মানুষকে কখনই জানাবেনা, তাহলে ওরা আমাকে শিকার করে মেরে ফেলবে।” লোকটি বোধিস্বত্ত্বকে সেই মত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিরে গেলো আপন নিবাসে।
এদিকে এই দেশের রাণী একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখলেন যে, একটি ঝলমলে স্বর্নের হরিণ, রাজার সিংহাসনের পাশে দাঁড়িয়ে ধর্ম শিক্ষা দিচ্ছেন। সকালে রাজাকে স্বপ্নের কথা জানালে রাজা ঐ হরিণের সন্ধান করতে ঘোষণা করে দিলেন, “যদি কেউ এরকম সোনার হরিণের সন্ধান দিতে পারে তাহলে তাকে রাজ্যের সবচেয়ে সুন্দরী নারীর সাথে বিয়ে দেয়া হবে আর উপহার হিসাবে রাজ্যের একটি সুন্দর গ্রাম দিয়ে দেয়া হবে।
সোনার হরিণ যে লোকটাকে বাঁচিয়ে ছিল তিনি এই ঘোষণা শুনে দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গেলেন। একদিকে তার কৃতজ্ঞতাবোধ আর অন্যদিকে তার দারিদ্র পীড়িত জীবনে, ঐশ্বর্য্য আর সুন্দরী নারীর সম্ভাবনা। তিনি নৈতিকতার দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লেন। একদিকে ভাবছিলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কথা অন্যদিকে ভাবছিলেন জীবনের চাকা ঘুরে যাবার কথা। ভাবতে ভাবতে তিনি এগিয়ে যাচ্ছিলেন। বিভিন্ন ধরনের যুক্তি এসে তার মনে ভর করলো। একবার ভাবলেন, “আমি শুধুমাত্র বলেছি, এটা ত আর প্রতিজ্ঞা ছিলোনা।” আবার ভাবলেন, “এটা আর এমনকি উপকার, স্রোতের টানে আরও এগিয়ে গিয়ে হয়তবা আমি বেঁচেই যেতাম” তিনি আরও ভাবলেন, “প্রতিজ্ঞা ভাংলে কি হবে, আমি এত ঐশ্বর্য পাবো যে, সেই সম্পদ থেকে ভালো কাজ করে আমার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের ব্যাপারটি পুষিয়ে নিতে পারবো। আর এমন ত হতে পারে রাজা হরিণটিকে মারবেনই না।”
এই ভাবতে ভাবতেই লোকটি রাজার দরবারে এসে পৌঁছালেন এবং রাজাকে হরিণের কথা জানালেন। রাজা তার সৈন্যসামন্ত নিয়ে সেই বনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পড়লেন। বনের মধ্যে পৌঁছে লোকটি যে মুহূর্তে হরিণটিকে দেখলেন, সাথে সাথে রাজাকে হাতের ইশারায় বললেন, “ঐ দেখুন হরিণটিকে দেখা যাচ্ছে”। এই কথা বলার সাথে সাথে লোকটির সেই হাত খসে পড়ে গেল, যেন কেউ তলোয়ার দিয়ে হাতটি কেটে ফেলেছে।”
বোধিস্বত্ত্ব হরিণ দেখতে পেলেন যে, রাজার শিকারিরা তার দিকে তীর ধনুক তাক করেছে। বোধিস্বত্ত্ব বুঝতে পারলেন, “পালানোর চেষ্টা করা বৃথা তিনি দ্রুত মানবকন্ঠে বলে উঠলেন, “হে রাজা তুমি থামো! আমাকে মেরোনা। দয়া করে ব্যাখ্যা কর তুমি আমাকে এখানে কিভাবে পেয়েছ?” রাজা বিস্মিত হয়ে তার তীর ধনুক নামিয়ে দিলেন এবং ঐ লোকটিকে দেখিয়ে দিলেন।” হরিণটি কঠোরভাবে বলল, “সত্যিই, অকৃতজ্ঞ কোন মানুষকে বাঁচানোর চেয়ে নদীর স্রোত থেকে একটি কাঠের খাড়ি বের করে আনা আরও ভালো হতে পারত।”

রাজা আশ্চর্য্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,” তুমি কোন দোষের কথা বলছ?? হরিণ বলল, “এই লোকটাকে তার ভবিষ্যতের অন্যায়, অনৈতিক কাজ থেকে বিরত করানোর চেষ্টা করছি মাত্র। এই লোকটিকে আমি মৃত্যুর হাত থেকে কিছুদিন আগে বাঁচিয়েছিলাম, তার প্রতিদানে এই লোকটি আজ আমার জন্য নিয়ে এসেছে বিপদের সংবাদ।” এরপর রাজা ঐ লোকটিকে শাস্তি দিতে চাইলে হরিণটি আবারো তার প্রাণভিক্ষা চাইলো। রাজা হরিণের মহানুভবতায় মুগ্ধ হলেন, ঐ লোকটিকে ক্ষমা করা হলো।
এবার রাজা হরিণটিকে নিয়ে এলেন রাজপ্রাসাদে। রাণীর স্বপ্ন সত্য হলো, হরিণটি রাজদরবারে ধর্মকথা শোনাতে শুরু করলো। হরিণটি বলল, “নৈতিকতার সকল আইনকে আমরা এক কথায় বলতে পারি; “সমস্ত জীবনের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। গভীর মমতা, স্নেহ আর ভালোবাসা হোক নৈতিকতার মূল উপাদান।” রাজার উদ্দেশ্যে বোধিস্বত্ত্ব বললেন, “রাজ্যের সকল প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হলেই আপনি তাদের নিজ পরিবারের সদস্যের মত ভালবাসতে পারবেন, আর পরিবারের সদস্যরা একে অপরের ক্ষতি করার ভাবনা থেকে সরে আসবে।” এরপর থেকে ঐ রাজ্যে নৈতিকতার শিবিরে এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন প্রকাশিত হলো। দেশটির মানুষ সুখে আর শান্তিতে একে অপরের প্রতি দয়া, মায়া, মমতা আর ভালোবাসা নিয়ে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠলো। হরিণটি পুনরায় তার বনে ফিরে গেলো।

গল্পটিতে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু আছে আর তা হচ্ছে, মানুষের উপকার এবং তার প্রতিফল হিসাবে ক্ষতির সম্ভাবনা। তবে, যিনি উপকার পেয়েছিলেন, তিনি তার নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়েছিলেন অর্থবিত্তের নিকট। বিবেকের যুদ্ধে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর নৈতিকতার রাজ্যে সহানুভূতির শিক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। আমরা, কে কোথায় কি ধরনের নৈতিকতার রাজ্যে বাস করছি সেটা ভাবা প্রয়োজন। যদি সহানুভূতি, স্নেহ, মমতা, সম্মান, ভালোবাসা থাকে তাহলে দেশ কিংবা রাজ্য হয়ে উঠতে পারে নৈতিকতার পরাকাষ্ঠা। আমি দাদাকে জিজ্ঞেস করলাম, “আমরা কি সেটা আদৌ পারছি?”