আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন চারদিকে। তবে বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে কেউ বাদ যাচ্ছেন না। দফতর পরিবর্তন হতে পারে কয়েকজনের। আর নতুন দুয়েকজন যুক্ত হতে পারেন শেখ হাসিনার বর্তমান মন্ত্রিসভায়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর এই মন্ত্রণালয় এখন মন্ত্রীশূন্য। এ অবস্থায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। এ মন্ত্রণালয়কে ঘিরেই মূলত এ রদবদলের গুঞ্জন ডালপালা ছড়াচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী আরও কিছু রদবদল করতে পারেন। সূত্র জানায়, নতুন মুখ হিসেবে ঢাকার একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য ও উত্তরাঞ্চল থেকে একজন নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন। সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ নেতার নামও শোনা যাচ্ছে এ তালিকায়। এ ছাড়া কয়েকটি বড় মন্ত্রণালয়ে রদবদল হতে পারে। করোনার সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে।
এ মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এর বাইরেও রদবদলের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। তবে মন্ত্রিসভায় রদবদলের পুরো এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি চাইলেই কেবল মন্ত্রিসভায় রদবদল বা নতুন মুখ আসা সম্ভব।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেশি আলোচিত। এ ছাড়া বর্তমান বৈশি^ক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কোনো মন্ত্রণালয়েও পরিবর্তনের আভাস আছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নিয়োগের সময় অন্য দুয়েকটা মন্ত্রণালয়ে সংযোজন, বিয়োজন বা পরিবর্তন হতে পারে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত বছর ৬ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। যাদের মধ্যে ২৭ জনই প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় স্থান পান।
মন্ত্রিসভায় প্রথম পরিবর্তন হয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে চার মাসের মাথায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করার মধ্য দিয়ে। এরপর ১২ জুলাই ইমরান আহমেদকে প্রতিমন্ত্রী থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী এবং ফজিলাতুন নেসাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে গণপূর্তের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খানকে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী করা হয়। মন্ত্রিসভার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে আলোচনায় আছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, সাহারা খাতুন ও কেন্দ্রীয় সদস্য বদরুদ্দিন আহমেদ কামরান মারা যাওয়ায় তিনটি পদ শূন্য হয়েছে। এ ছাড়া আগে থেকেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আরও কিছু পদ শূন্য রয়েছে।