গ্লোব বায়োটেকের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমোদন

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আজ মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্স টিকা প্রয়োগের নৈতিক অনুমোদন দেওয়া হলো। এখন আমরা ক্লিনিক্যালের অনুমোদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করব। অনুমোদন পেলেই বঙ্গভ্যাক্স টিকা মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করা হবে। 

বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের দাবি করছে, প্রাথমিক ফলাফলে বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি ডেল্টাসহ বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনার ১১টি ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে শতভাগ কার্যকর।

প্রতিষ্ঠানটি আরো দাবি করছে যে, বঙ্গভ্যাক্স টিকার অ্যানিমেল ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়ালের প্রতিবেদনও বিএমআরসিতে জমা দেওয়া হয়েছে।

গ্লোব কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি প্রাকৃতিক বিশুদ্ধ এমআরএনএ (মেসেঞ্জার রাইবোনিউক্লিক এসিড) দিয়ে তৈরি। যার ফলে এটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বঙ্গভ্যাক্স টিকাটি এক ডোজের। অনুমোদন পেলে বিদেশেও এ টিকার চাহিদা তৈরি হবে।

উল্লেখ্য, গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকাকে অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ তিনটি টিকা অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় রয়েছে। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নীতিগত পরীক্ষার জন্য বিএমআরসির কাছে প্রটোকল জমা দেওয়া হয়। এরপর বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা দেওয়া হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি। গত ২২ জুন বিএমআরসি মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষা করার শর্ত দেওয়া হয়। গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে পরীক্ষা শুরু করে, যা ২১ অক্টোবর শেষ হয়।

SHARE THIS ARTICLE