আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ জায়েদ খানকে বয়কট করেছে চলচ্চিত্র স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন। শনিবার সন্ধ্যায় জায়েদ খানকে এই বয়কটের ঘোষণা দেন ১৮ সংগঠনের আহবায়ক সোহানুর রহমান সোহান। গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের দিন বিএফডিসিতে চলচ্চিত্রের বাকি সংগঠনগুলো প্রবেশ করতে পারেনি। এ বিষয়ে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে জায়েদ খানকে বয়কট করা হচ্ছে এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শপথ গ্রহণের মাত্র একদিন পরেই তাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলো চলচ্চিত্র সংগঠনগুলো।
এদিকে ১৮ সংগঠনের পক্ষ থেকে জায়েদ খানকে বয়কট করা হলেও এই সোহানুর রহমান সাক্ষরিত এই সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির প্যাডে জানানো হয়েছে। এই প্যাডেই বলা হয়েছে, সকল সংগঠনের সিদ্ধান্তে জায়েদ খানকে বয়কট করা হয়েছে। সংগঠনগুলোর কেউ জায়েদ খানের সঙ্গে কাজ করবেন না। যদি কেউ কাজ করেন তাহলে সংগঠনগুলো তাকে বহিষ্কার করবে। সোহানুর রহমান ১৮ সংগঠনের আহবায়ক ও একই সঙ্গে পরিচালক সমিতির সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে চলচ্চিত্র শিল্পী মহাসচিব সোহানুর রহমান সোহানের এই সিদ্ধান্তকে একক সিদ্ধান্ত বলে ভয়েস অফ আমেরিকাকে জানিয়েছেন পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন।
তিনি বলছেন, “১৮ সংগঠনের সকল কার্যক্রম পরিচালক সমিতির প্যাডেই হয় এটা ঠিক। আজ আমি একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে কুমিল্লায় ছিলাম। সোহান ভাই আমাকে ফোন করে বললেন, মিটিং করতে চাচ্ছি। আমি বললাম এজেন্ডা কী? তিনি আমাকে জানালেন এজেন্ডা দুইটি, এক-বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর শেষ দিন পালন ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ। আমি বললাম, আমি নেই তবুও করেন। কিন্তু আমি গণমাধ্যমে জানলাম তিনি জায়েদ খানকে নিষিদ্ধ করেছেন। এটি তার একক সিদ্ধান্ত। আমি এটার নিন্দা জানাই।”
এ বিষয়ে জায়েদ খান ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলছেন, “আমাকে আইনগতভাবে আটকাতে পারেনি, তাই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই পথ বেছে নিয়েছে। তারা বলছে নির্বাচনের দিন চলচ্চিত্রের কেউ যেন ঢুকতে না পারে এটা আমার সিদ্ধান্ত। এটা হাস্যকর নয়? আমি একজন প্রার্থী আমি কি কাউকে গেটে গিয়ে আটকাতে পারি? যিনি আমাকে নিষিদ্ধ করেছেন তিনিই এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিকট গিয়ে অঙ্গীকার করেছেন যে আপনি নির্বাচনের তারিখ দিন, ওইদিন কেউ ঢুকবে না। তিনি নিজের দোষ আমার ঢাকতে পরিচালক সমিতির প্যাডে আমাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, এটা কেমন কথা?”
এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি ভয়েস আমেরিকাকে বলছেন, “এখানে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমি এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার কেউ নই। সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।”