জুম্মার মুসল্লিবিহীন বন্ধ রইলো আয়ারল্যান্ডের ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি

মনিরুজ্জামান মানিক, আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ গত শনিবার (১৯-৪-২৫) দুবাইয়ে (মাখতুম ফাউন্ডেশন) অবস্থিত বোর্ড এবং ডাবলিন মসজিদ ব্যবস্থাপনার ও মুসল্লি মধ্যে চলমান বিরোধের কারণে আয়ারল্যান্ডের ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি এখনও তালাবদ্ধ রয়েছে, যা সপ্তাহান্তে ঝগড়ার সূত্রপাত।

গত উইকেন্ডে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনার পর ডাবলিনের ক্লোনস্কি ইসলামিক কালচারাল সেন্টার জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে এটি ঘটেছে।
গেটে টাঙানো একটি নোটিশে বলা হয়েছে যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রোটোকল পর্যালোচনা এবং বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত সেন্টারটি বন্ধ থাকবে।


নোটিশে বলা হয়েছে যে ঘটনাটি “অস্বাভাবিক এবং বেদনাদায়ক” মসজিদটি জনসাধারণের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।
১৯৯৬ সাল থেকে এই মসজিদটিতে জুম্মার নামাজ হয়ে আসছিল। এই প্রথম জুম্মার নামাজ বন্ধ হয়ে গেলো। বেকায়দায় পড়ে মুসলিম কমিউনিটি।

মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি জনাব ফারুক সরোয়ার তার ফেজবুকে দূঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন মুসলিম কমিউনিটির মুসল্লিগণদের সাথে কথা বার্তা মধ্যে জানতে পারলাম, নুরুল হুদা কোরান মাদ্রাসা এবং অনন্য সমস্যা ও দূরনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছিল মসজিদের ব‍্যবস্হাপনা পরিচালকরা।
কিন্তু আমার বুদ্ধির বিবেচনায় বুঝতে পারলাম,মিশরীয়রা(Egyptians) আমাদের কিছু মসজিদের ঈমাম এবং তার সাথে সাথে মিশরীয় রাজনৈতিক দল মিশরীয় মুসলিম ব্রাদারহুড নেতৃত্ববৃন্দ সাথে যোগযোগ এবং গোপনে আর্থিক সাহায্য হয়ে থাকতে পারে,এবং একজন মুসলিম বংশোদ্ভূত প্রাক্তন আমেরিকা এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) কিছু অস্পষ্টতা আলামত পাওয়া, যা তাদের দুবাইয়ে মাখতুম ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের নজরে নিয়ে আসে।

ঐ প্রাক্তন এফবিআইয়ের কর্মকর্তা মাখতুম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তদন্তের পাঠানো হলে, সংঘাতে সূত্রপাত আরম্ভ হয়। এখন কথা হলো দূরনীতির আলামত পেলে বিচক্ষন হিসাব রক্ষক পাঠানো উচিত?? তারা তা না করে প্রাক্তন এফবিআইয়ের সদস্য নিযুক্ত করবেন কেন??
কেননা আরাবিয়া মসজিদগুলোর প্রায় মসজিদে মিশরীয় ঈমাম, তাদের মুখ বন্ধ, তারা কোনো রকম এই সন্পর্কে আলোচনা বা কিছু বলতে অপারগ। কেবলমাত্র মৌলিক আলোচনার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ।
আমাদের মুসলিম সমাজের ভাবমূর্তি এখন মহা বিপদ তাদের এই আচরণ জন‍্য ।
এই ধরনের মসজিদ পরিচালনা কমিটি দেশীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কারণে ভবিষ্যতে মুসলমানদের আইরিশ নাগরিকদের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি বা ধর্মীয় অনুভূতির আঘাত না আসে সে দিকে সকলের দৃষ্টি ও নজর রাখা উচিত।

“আমাদের সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে মুসলিম ন্যাশনাল স্কুলের শিশুদের নিরাপত্তা এবং কল্যাণের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এতে বলা হয়েছে যে এই পদক্ষেপটি ক্লোনস্কি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ইতিহাসে একটি গভীর দুঃখজনক মুহূর্ত”।
ইসলামিক কালচারাল সেন্টার বন্ধের ফলে আয়ারল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি না।
উল্লেখ ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি ১৯৯৬ সাল থেকে ক্লোনকাগে পরিচালিত হচ্ছে।

SHARE THIS ARTICLE