আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ জোয়ারের পানি ও বৃষ্টিতে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের ২২টি গ্রাম ও প্রতাপনগরের ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে কপোতাক্ষের জোয়ারের চাপে শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের অন্তত ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রাম শ্রীউলার নাকতাড়া, মাড়িয়ালা, মহিষকুড়, পুইজ্বালা, বকচর এবং প্রতাপনগরের ঘোলা, প্রতাপনগর, কুড়িকাহনিয়া, হরিষকাটীর প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। ভেসে গেছে শত শত মাছের ঘের।
এদিকে গতকাল শনিবার দিনভর বৃষ্টি না থাকায় এবং অমাবস্যার প্রভাব হ্রাস পাওয়ায় নতুন করে কোথাও ভাঙন দেখা যায়নি। তা সত্ত্বেও আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৪টি গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ দিয়ে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ভাঙন কবলিত এলাকায় কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। তারা আরও জানান, আমরা সমগ্র বিষয় তদারকিতে রেখেছি।