
আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ টিকা এখন অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, অনেকে বলে যে দেবো কিন্তু কেউ দেয় না। আবার দেওয়ার সময় জিজ্ঞাসা করে যে অমুক জিনিসে আমাকে সমর্থন দেবেন কিনা। এখন দেখা যাচ্ছে এটিকে একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে মঙ্গলবার (২২ জুন) মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকার দেওয়ার নামে সবাই মুলা দেখাচ্ছে। বড় বড় পণ্ডিতরা টিকার বিষয়ে কত কি বলছে। জি-৭ দেশগুলো কিছুদিন আগে বৈঠক করে বলেছে তারা ১০০ কোটি ডোজ টিকা দরিদ্র দেশগুলোকে দেবে। এই নিয়ে শুধু গল্পই শুনছি। কিন্তু দেওয়ার জন্য কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
সবাই আমাদের কাছে টিকা বিক্রির জন্য আসছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন একটা মজার জিনিস। এখন সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গায়ক, ব্যবসায়ী সবাই ভ্যাকসিন ব্যবসায়ী।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটা মজার কাহিনী বলি। আমেরিকার অনেক ব্যক্তিবিশেষ আমাদের জানিয়েছেন যে অমুক লোক অনেক টিকা দিতে পারবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আমেরিকার লোক আমাদের জানিয়েছে, তারা রাশিয়ান টিকার ডিলারশিপ পেয়েছে কিন্তু রাশিয়া সরকার আমাদের জানিয়েছে তাদের কোনও ডিলারই নাই।’
এসময় সাংবাদিকরা জানতে চান টিকা কবে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়ে সুখবর পাবো কিন্তু কবে পাবো সেটি এখন বলতে পারছি না। পৃথিবীর ধনী সাতটি দেশ অর্থাৎ জি-৭ ১০০ কোটি টিকা দেবে বলে আমাদের জানিয়েছে। খালি শুনছি দেবে কিন্তু দেওয়ার কথা কেউ বলছে না, শুধু আশ্বাস দিচ্ছে।
ধনী দেশগুলো টিকা নিয়ে বসে রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের যত জনসংখ্যা, তার থেকে তাদের কাছে টিকা বেশি রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অন্য ভ্যাকসিনের পাশাপাশি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনও সরবরাহ করবে- এমন আশা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো প্রয়োজনের বেশি ভ্যাকসিন নিয়ে বসে আছে। সেজন্য তাদের বলেছি যে, বাড়তি ভ্যাকসিন নষ্ট না করে আমাদের দিয়ে সহযোগিতা করতে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আগেই চেয়েছি। আমরা আশাবাদী তারা আমাদের এই ভ্যাকসিন দেবে।