
ডানপিটে মেয়ে
রহমান ফাহমিদা
ছোট্ট বেলাটা খুব সুন্দর
ছিল যে আমার
সারাটি দিন টৈ টৈ আর ঘুরে
বেড়াতাম বনবাঁদার ।
খেলতাম ভাইদের সাথে
নিয়ে ডাংগুলি
কখনও কখনও বোনদের নিয়ে,
মালা গাঁথতাম ফুল তুলি ।
নিজেদেরই গাছে চড়ে করতাম
কুল আর পেয়ারা চুরি
ধরা পড়লে খেতাম অনেক
বকাবকি ভুরি ভুরি ।
বাড়ির পাশেই ছিল হাকিম সাহেবদের
মাঠ আর বাগান
সকাল সন্ধ্যা মাঠে গিয়ে
ঘুড়ি উড়াতাম ।
অনেক খেলা করেছি ভাই বোন আমার
হয়েছে সাথী
ক্রিকেট,বল,মার্বেল,লাটিম ও
খেলেছি চড়ুইভাতি ।
মাঝে মাঝে দল নিয়ে হাকিমের বাগানে
দিতাম হানা!
লিচু চুরি ছিলো আমার নিত্যদিনের
আরাধনা ।
মালী দেখে তেড়ে এসে বলতো
আর একটিও নিবে না!
লিচু নিয়ে দিতাম ছুট্, মালী
ধরতে পারতো না ।
ছুট্ ছুট্ ছুট্,ছুটে চলে যেতাম আমরা
রেল লাইনের ধারে
তখন আমার দলবলকে কার সাধ্য যে,
ধরতে পারে?
পারতো না কেউ আমাকে
আটকাতে ঘরে
ডানপিটে হয়ে গিয়েছিলাম আমি,
বন বাঁদাড়ে ঘুড়ে।
জানতে পারলাম না কখন বড়
হয়ে গেলাম !
হঠাৎ করেই ডানপিটে মেয়েটি হাতে পায়ে
বেড়ি পড়লাম ।
পারলাম না আর কখনও ঐ
বেড়ি খুলতে
পারলাম না আর উড়ন্ত পাখিটি মুক্ত
আকাশে উড়তে!!
এভাবেই শেষ হবে ডানপিটে মেয়ে,
আমার পথ চলা
ফেলবো কষ্টের দীর্ঘশ্বাস আজীবন,
হবে না কাউকে কিছু বলা ।