ডিপোর্টেড ফরেনাররা হজ ও ওমরাহ ছাড়া পুনরায় সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবে না

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ সৌদি আরব সরকার তার দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে বিদেশী শ্রমিক বা নাগরিকদের জন্য একের পর এক আইনগত সিদ্ধান্ত কার্যকরের পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করেছে। এছাড়া দেয়া হচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাও।

সৌদি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশী জনবলের কোটা সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করে। সৌদি গেজেট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের জেদ্দার শ্রম উইং এ তথ্য জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে তারা আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে যেসব বিদেশী নিজ দেশে বাধ্যতামূলক ফেরত চলে যাচ্ছেন (ডিপোর্টেড ফরেনার) তারা হজ ও ওমরাহ ব্যতীত অন্য কোনো প্রকারে পুনরায় সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবে না বলে সৌদি ইমিগ্রেশন অধিদফতর জানিয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক চিঠি গত ২৬ জুলাই বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার শ্রম কল্যাণ উইং থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহিনের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে ফেরত যাওয়া কর্মীদের বিষয়ে বলা হয়েছে, এই ধরনের প্রবাসীরা অন্য কোনো কর্ম ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে পুনরায় প্রবেশের সুযোগ পাবে না। সেটি সৌদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। এদিকে ১ আগস্ট থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন গ্রহণ ব্যতীত অন্য কোনো দেশ থেকে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবে না- এ তথ্যটি ভুল বলে জানিয়েছে জেদ্দা শ্রম উইং।
কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন গ্রহণ কিংবা না গ্রহণের সাথে সৌদি আরবে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনা সৌদি কর্তৃপক্ষ এখনো দেয়নি বলে অপর এক চিঠিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও জেদ্দা কাউন্সেলর অফিস থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

জেদ্দার কাউন্সেলর (শ্রম) আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্তে সঠিক তথ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি তার চিঠিতে বলেছেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে সৌদি আরবের যেকোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাওক্কালনা অ্যাপ মোতাবেক শুধুমাত্র ‘ইমিউন’ ব্যক্তিরা প্রবেশ করতে পারবেন। একই চিঠিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়। কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন (ফুল ডোজ) গ্রহণ করা থাকলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন হবে না। আর ফুল ডোজ গ্রহণ করা না থাকলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন প্রয়োজন হবে।

জেদ্দার শ্রম কাউন্সেলর অফিস থেকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে পাঠানো অপর এক চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবে আগত গৃহকর্মীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাবদ ব্যয়িত অর্থ সৌদি রিক্রুটিং এজেন্সি অফিস কর্তৃক বহন করতে হবে মর্মে সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে বলে সৌদি গেজেট সূত্রে জানা গেছে বলে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

SHARE THIS ARTICLE