আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সাবেক পর্ন তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণ পর মুক্তি পেয়েছেন। ছাড়া পাওয়ার পর তিনি নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালত চত্বর ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাতে নিউ ইউর্কের ম্যানহাটন আদালতে আত্মসমর্পণের কথা ছিল ট্রাম্পের । কিন্তু আদালতের নির্দেশে আগেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এর পর শুরু হয় শুনানি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, শুনানির সময় তাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। ট্রাম্পের সঙ্গে তার আইনজীবীরা ছিলেন। আদালতে শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। পরে সার্বিক প্রক্রিয়া শেষে তিনি আদালত চত্বর ছেড়ে যান।
ট্রাম্পই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হলেন।
আদালদত থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলেও তিনি এড়িয়ে যান।
শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ট্রাম্প ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগামীদের অভিযোগ, পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
এই পরিস্থিতিতে ক্যাপিটল হামলাম ‘ইতিহাস’ মাথায় রেখে নিউ ইয়র্ক জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হলে তার অনুগামীরা হিংসাত্মক প্রতিবাদের পথে হাঁটতে পারেন বলে আশঙ্কা আমেরিকার সাংবাদমাধ্যমের একাংশেরও। ইতিমধ্যেই নিউ ইয়র্কের কয়েকটি রাস্তায় ট্রাম্প সমর্থকদের জমায়েত নজরে এসেছে। পাশাপাশি, ট্রাম্পের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তার বিরোধীরাও।
অন্য দিকে, ট্রাম্পের আইনজীবী হাজিরার ভিডিও প্রকাশ্য আনা নিষিদ্ধ করতে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ার থেকে গাড়িবহর নিয়ে ম্যানহাটনের আদালতে যান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ সময় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় শহরজুড়ে। ৭৬ বছরের ট্রাম্প গাড় নীল স্যুট ও লাল টাই পরে আদালতে উপস্থিত হন।
স্টর্মির দাবি, ২০০৬ সালে তিনি এবং ট্রাম্প শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। এর পর ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার মুখ বন্ধ রাখতে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ঘুষ মামলায় গত বৃহস্পতিবার ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ অভিযোগের তদন্ত করেছিলেন। তিনি ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। ফলে ‘রাজনৈতিক চক্রান্তের’ অভিযোগ জোরালো হয়েছে।