বিএনপি অথবা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এখন আর বেহেশতে যেতেও রাজি নন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম জামায়াতের সঙ্গে আমি বেহেশতে ও নরকে বসবাস করতে রাজি না। আজকে ঠিক তেমনি বলছি, হাওয়া ভবনের জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত তারেক রহমান মানুষের কাছে জোড়হাত করে ক্ষমা না চাইবে এবং মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা না করবে, আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি—বিএনপির কোনও ভবিষ্যৎ নাই। হাওয়া ভবনের কথা বাংলার মানুষ কখনও ভুলবে না।’
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘বিজয় ২০১৯ এবং বর্তমান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ঐক্যফ্রন্ট ত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর একজন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচরের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে, সেই ঐক্যফ্রন্ট মানুষকে দিশা দিতে পারবে। কিন্তু নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই দেখলাম ঐক্যফ্রন্টের নেতা আমাদের ড. কামাল হোসেন নন, ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে করছে বিএনপি। পরে নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে বলা হলো এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলাম। মাত্র আটজন লোক পাস করলো বা পাস করানো হলো। তাদের সংসদে পাঠালাম। আবার আমরা বলছি নির্বাচন মানি না। এটার (ঐক্যফ্রন্টের) সঙ্গে থাকায় আমার একটু কষ্ট হয় বলেই আমি এটা ত্যাগ করেছি। আমি সেখানেই বলেছিলাম ড. কামাল হোসেনকে ত্যাগ করি নাই, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ত্যাগ করি নাই, বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলক আ স ম আব্দুর রবকে ত্যাগ করি নাই।’
শেখ হাসিনার উন্নয়ন চান না মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘চারদিকে শুধু উন্নয়ন উন্নয়ন আর উন্নয়ন। দেশ ভেসে যাচ্ছে উন্নয়নে। আমি আজকে এই নাগরিক ঐক্যের মিটিং থেকে বলতে চাই—নেত্রী হাসিনা ক্ষমা করেন। আপনার উন্নয়ন আমরা চাই না। এক টাকার উন্নয়ন আপনি ১০০ টাকা দিয়ে করবেন আর ৯০ টাকা চুরি করবেন। এই উন্নয়ন আমরা চাই না।’