ত্রৈমাসিক অর্থনীতিতে চীনের রেকর্ড প্রবৃদ্ধি

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি ১৮.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, এটা চীনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। ১৯৯২ সাল থেকে চীন তাদের ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক পরিবর্তন নথিভুক্ত শুরু করার পর এবারের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশী। ২০২০ সালের একই সময়ে যখন কোভিডের প্রাদুর্ভাব চূড়ান্ত অবস্থানে তখন চীনের অর্থনীতি দ্রুত সংকুচিত হয়ে তলানিতে নেমে গিয়েছিল, সেই সময় সংকোচন ছিল ৬.৮%। সেই সংকোচনের পর চীনের অত্থনীতি অস্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের এক সমীক্ষায় এই প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা ছিল ১৯%, সেই তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে।

চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রথম ত্রৈমাসিকের তথ্য প্রকাশ করে বলেছে, “জাতীয় অর্থনীতি এই সময়ে একটি ভালো সূচনা করেছে।” ব্যুরো আরও বলেছে যে, “আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে কেননা কোভিড -১৯ মহামারী এখনও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতি গভীর অনিশ্চয়তা এবং অস্থিরতার এক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে নিপতিত”। চীনের পরিসংখ্যান বিভাগ প্রকাশিত অন্যান্য পরিসংখ্যানগুলিও ধারাবাহিকভাবে ইতিবাচক প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত করে, তবে এই ইতিবাচক অগ্রগতি অস্বাভাবিক শক্তিশালী কেননা গত বছর একই সময়ে সকল পরিসংখ্যান অত্যন্ত দুর্বল ছিল। গত বছরের তুলনায় চীনের শিল্প উৎপাদন ১৪.১% আর খুচরা বিক্রয় বেড়েছে ৩৪.২%। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন ধীরে ধীরে এই প্রবৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ হবে এবং ২০২১ সালে শেষ দিকে এসে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ৯% হতে পারে, যদিও চীনের প্রত্যাশা ছিল এই প্রবৃদ্ধি ৬% হতে পারে। 

কেউ কেউ যদিও বলছেন যে, এই দ্রুত গতি সহসাই শ্লথ হয়ে যাবে তবে পরিসংখ্যান অনুযায়ী চীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখেছে। ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে গত প্রান্তিকের তুলনায় প্রবৃদ্ধির তুলনা করা হলে, চীনের অর্থনীতি ০.৬% কম বেড়েছে।

মহামারী আঘাত হানার পর চীন, কঠোর ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ব্যবসায়ের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রাখার পর অর্থনীতি অবিচ্ছিন্নভাবে পুনরুদ্ধার লাভ করেছে। ২০২০ সালের শুরুতে মারাত্নক আঘাত সত্ত্বেও, চীন একমাত্র প্রধান অর্থনীতি যা ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল, যদিও কয়েক দশকের  মধ্যে এই প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে দুর্বল ২.৩% ছিল। চীন গত বছর তার লক্ষ্যমাত্রা বাদ দিয়ে ২০২১ সালের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬%।

তথ্যসূত্রঃ সি এন এন, বি বি সি 

SHARE THIS ARTICLE