আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২০২০ সালে চাঞ্চল্যকর আসলাম হত্যা মামলার মূল আসামি তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণাকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে র্যাব। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যশোরের নওয়াপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটিতে তিন বছর পলাতক থাকার পর তাকে গ্রেফতার করা হলো।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-৬ এর পরিচালক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যশোরের অভয়নগর থানাধীন নওয়াপাড়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে উম্মে হাবিবা কণাকে গ্রেফতার করে।
আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগী আসলাম উম্মে হাবিবা কণার তৃতীয় স্বামী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ থাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আটককৃত আসামিকে উক্ত মামলা মূলে ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০২০ সালের ৫ জুলাই ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন পোস্তগোলা ব্রিজের অদূরে বুড়িগঙ্গা নদী হতে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল। উদ্ধারকৃত মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক ভিকটিমের পরিচয় ও আত্মীয়-স্বজন না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ভিকটিমের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হয়। জানা যায়, লাশটি যশোরের চৌগাছা থানাধীন মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে মো. আসলাম উদ্দিনের।
লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তদন্তের ভিত্তিতে জানতে পারেন ভিকটিমের স্ত্রী উম্মে হাবিবা কণাই তার দ্বিতীয় স্বামী মো. ডালিমকে সঙ্গে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে আসলামকে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়।
আসামি উম্মে হাবিবা কণা সম্পর্কে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কণা একাধিক বিয়ের মাধ্যমে স্বামীদের নিকট হতে কৌশলে অর্থ আত্মসাৎ করতো। অর্থ আত্নসাৎ ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আসামিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আলামত গোপন করার নিমিত্তে মৃতদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। পরে পলাতক আসামি উম্মে হাবিবা কণা যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন নওয়াপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে আছে বলে র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় এবং সে অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করা হয়।