নতুন সেনাবাহিনী তৈরি করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত পাঁচটি দেশ

6 things the EU has achieved, 60 years on from its founding treaty | World  Economic Forum

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিতরে নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইউরোপের একাধিক দেশ। সে কথা মাথায় রেখেই একটি নতুন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে পাঁচ দেশ। জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল এবং স্লোভেনিয়া জানিয়েছে পাঁচটি দেশ একত্রে একটি সেনাবাহিনী বা অ্যাকশন ফোর্স তৈরির পরিকল্পনা করেছে। দুইটি ভাগে বিভক্ত সেই বাহিনীর একেকটি উইংয়ে দেড় হাজার করে সেনা থাকবে। প্রতিটি দেশ থেকেই সেনা অংশগ্রহণ থাকবে। যার একটি উইং সবসময় স্ট্যান্ডবাই থাকবে। কোনো সমস্যা হলেই তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে।শুধু ভূমিযুদ্ধই নয়, সাইবার যুদ্ধেও এই সেনা পারদর্শী হবে বলে ওই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। পাঁচটি দেশই নতুন এই বাহিনী নিয়ে আশাবাদী।

বস্তুত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, চাইলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ এ ধরনের ফোর্স তৈরি করতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলির সবুজসংকেত লাগবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই বিষয়টি ওঠানো হলে বাহনীকে আরও বড় করা যেতে পারে বলেও প্রস্তাব আসতে পারে।

জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ এই খবর প্রচার করার পর জার্মান সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেছেন, এই ফোর্স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তবে ন্যাটো ফোর্সের বিকল্প ফোর্স হিসেবে এই ফোর্সটিকে দেখতে রাজি নন তিনি।

জার্মানির বামপন্থী দল অবশ্য এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। তারা বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সামরিক শক্তি নয়। মানবাধিকারের বিষয় নিয়েই তাদের কাজ করা উচিত। নতুন বাহিনী তৈরির কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। যেভাবে আফগান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে, তারও বিরোধিতা করেছে বামপন্থী দল।

SHARE THIS ARTICLE