নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পরেছে নিত্যপণ্যের দাম

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না দ্রব্যমূল্যের দাম। অন্যদিকে সরকার চালের দাম বেঁধে দিলেও তার প্রভাব পড়েনি বাজারে। এখনো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। কাঁচা বাজারে যেয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। 

সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বন্যাকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দাম বেড়েছে।

এ সপ্তাহে বেশকিছু সবজির দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি উঠেছে। অধিকাংশ সবজি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১২০ টাকা বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম উঠেছে ২৮০ টাকা।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে, প্রতি কেজি শসা ১০০ টাকা, ছোট প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, সিম কেজি প্রতি ১২০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা,  আলু ৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৮০ টাকা, ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, পেয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ১২০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, এই মাস পুরোটাই এমন বাড়তি থাকবে সবজির দাম। শীত এলে দাম কমবে। তবে বিগত বছরগুলোর থেকে এবারে সবজির দামটা অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বন্যাকে দায়ী করছেন তারা।

এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, কয়েকদিন ধরেই সবজির দাম বেশি। এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনতে গেলে লাগে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি বাজারে নেই। কোনো কোনো সবজির দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ভোগ পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষ কষ্টে আছে। করোনা মহামারি কারণে একদিকে মানুষের আয় কমে গেছে, অনেকের চাকরি চলে গেছে, অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। দাম বৃদ্ধিতে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের মানুষকে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। সবজির দাম বেশি হওয়ার কৃষকরা যদি শীতকালীন সবজির আগাম চাষ করে তাহলে বাজারে স্বস্তি আসতে পারে।

অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, নিত্য ভোগ পণ্যের দাম বৃদ্ধি সবার জন্যই সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এর পিছনে দেশে দীর্ঘ মেয়াদি বন্যাকে দায়ী করেন তিনি। যার প্রভাব পড়েছে এখন বাজারে।

SHARE THIS ARTICLE