নেটোতে যোগদানের বিরুদ্ধে সুইডেন-ফিনল্যান্ডকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এমনকী জোট নিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনও ভাবছে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোতে যোগ দেওয়ার কথা। তারা আসন্ন গ্রীষ্মের শুরুতেই নেটোতে যোগ দিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে রাশিয়া দেশ দুটিকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, এমন পদক্ষেপ ইউরোপে স্থিতিশীলতা আনবে না।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “নেটো শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো কোনও জোট নয়। এর আরও সম্প্রসারণ ইউরোপ মহাদেশের জন্য বাড়তি কোনও নিরাপত্তা বয়ে আনবে না।”

মস্কো বরাবরই স্পষ্ট করে বলে আসছে, তারা নেটো জোটের কোনওরকম সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে। ইউক্রেইনকেও নেটো জোটে সামিল না হতে এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়া। ওদিকে, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন নেটো সদস্য না হলেও জোটটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। তবে সদস্যপদ না থাকায় আক্রান্ত হলে ইউক্রেইনের মতো তারাও সরাসরি নেটো সুরক্ষা পাবে না।

ইউক্রেইনে রুশ হামলার পর নেটোতে যোগ দেওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনে। সুইডিশ ক্ষমতাসীন স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আগে নেটোতে যোগদানের বিপক্ষে থাকলেও এখন তারা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে। পার্র্টি সেক্রেটারি স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, নেটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে পর্যালোচনা আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই সম্পন্ন হওয়া উচিত।

সোমবার এক বিবৃতিতে স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বলেছে, “রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালানোর পরই নিরাপত্তার প্রশ্নে সুইডেনের অবস্থান আমূল বদলে গেছে।” ওদিকে, রাশিয়া ইউক্রেইনে আগ্রাসনের ‘বড় ধরনের কৌশলগত ভুল’ করার মধ্য দিয়ে নেটো সম্প্রসারণের সম্ভাবনাকেই আরও বাড়িয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রও আগেই এ জোটে আরও দেশকে সামিল করার ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে।

বিবসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আশা করছেন, নরডিক প্রতিবেশী দেশগুলো সম্ভব হলে আগামী জুনের মধ্যেই নেটো সদস্যপদ পাওয়ার উদ্যোগ নেবে। এমন হলে নেটোর সদস্যসংখ্যা বেড়ে ৩২ হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সায় আছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর গত সপ্তাহে বলেছে, নেটো নেতাদের সঙ্গে হেলসিঙ্কি এবং স্টকহোমের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কথা হয়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ এর আগে গত সপ্তাহে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড নেটোতে যোগ দিলে রাশিয়াকে নিজেদেরই পদক্ষেপ নেওয়ার মধ্য দিয়ে “পরিস্থিতিকে আবার ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।”

আর এর আগে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখাত্র মারিয়া জাখারোভা সতর্র্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, নেটোতে কোনও দেশ যোগ দিলে তাদেরকে “সামরিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।”

SHARE THIS ARTICLE