
- বিশ্বনবী মদিনার কুলসুম ইবনুল হিদম রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেজুর শুকানোর জায়গায় একটি মসজিদ তৈরি করেন। এটি ইসলামের ইতিহাসে মুসলমানদের প্রথম স্থাপনা। যা কুবায় স্থাপিত হয়। এটি ঐতিহাসিক মসজিদে কুবা।
মসজিদে কুবা উম্মতে মুহাম্মাদির সর্ব প্রথম মসজিদ। সম্মান ও মর্যাদার দিক থেকে মসজিদে হারাম, মসজিদে নববি এবং মসসিদে আকসার পরই মসজিদে কুবার স্থান।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মসজিদে কুবাকে অনেকবার সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়।
বিশ্বনবির পর ইসলামের তৃতীয় খলীফা হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফতকালে সর্বপ্রথম মসজিদে কুবার সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে আরো সাত বার এই মসজিদের পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়।
অনেক পুরনো ও জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে মসজিদটির পুনর্নির্মাণ করা হয়। এই মসজিদ পুনর্নিমাণে পুরো মসজিদে এক ধরনের উন্নতমানের সাদা পাথর ব্যবহার করা হয়।
বর্তমানের যে কুবা মসজিদের স্থাপনা রয়েছে, তা অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।
মসজিদটির চার কোণে রয়েছে সুদৃশ্য ৪টি মিনার ও দুই তলা বিশিষ্ট মসজিদে কুবার ছাদে রয়েছে ১টি বড় গম্বুজসহ অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট ৫টি গম্বুজ রয়েছে।
তাছাড়া মসজিদে কুবার ছাদের অন্য অংশে আছে গম্বুজের মতো ছোটো ছোটো অনেক অবয়ব। চারপাশের খেজুরের বাগান ও বনায়ন মসজিদটির সৌন্দর্যকে করে তুলেছে অতুলনীয়।
মদিনায় মসজিদে নববীর দক্ষিণ পশ্চিম দিকে মসিজদে কুবা অবস্থিত। মসজিদে নববি থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৩.২৫ কি. মি.।
হিজরতের পর বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় ১০ বছর কাটিয়েছেন। এ সময়ে বিশ্বনবি পায়ে হেঁটে কখনো উটে আরোহণ করে কুবা মসজিদে যেতেন এবং সেখানে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করতেন।
হজরত উসাইদ ইবনে হুজাইব আল আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন ‘মসজিদে কুবায় এক ওয়াক্ত নামায আদায় করা; সওয়াবের দিক থেকে একটি ওমরা আদায়ের সমতুল্য।’ (তিরমিজি)