আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা এবং মাদকের মামলায় জামিন পেয়ে ৩০ জুন কারামুক্ত হয়েছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ওইদিন রাত ৮টার দিকে নাসির মুক্তি পান। পরীমনি ও মাদক মামলায় গ্রেফতারের পর ১৮ দিন রিমান্ডে থানায় ও কারাগারে ছিলেন নাসির।
কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে শনিবার প্রথম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ। সত্যিকারে অন্যায় করলে আফসোস ছিল না- এমন আক্ষেপ করে এই ব্যবসায়ী বলেন, বড় রকমের ভিকটিম হলাম। কোনো দিন হাজত দেখিনি। রিমান্ডে ১২ দিনসহ ১৮ দিন জেলহাজতে কাটিয়েছি। আমাকে আটক করার পরও কেউ আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি। একজন সেলিব্রিটির (পরীমনি) অভিনয়ে আমি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম।
এর আগে ১৩ জুন সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে পরীমনি অভিযোগ করেন, তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমনি। ১৩ জুন রাতে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, গত ৮ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমিকে সাথে নিয়ে আশুলিয়ার একটি ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজনের সাথে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। ওই ব্যক্তিদেরই একজন হঠাৎ জোর করে তার মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরেন ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
পর দিন ১৪ জুন সাভার থানায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন পরীমনি। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে নাসির ও অমি এবং তিনজন নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের সময় আসামিদের কাছ থেকে বিদেশী মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মাদক মামলায় ১৫ জুন নাসির ও অমির সাতদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আদালত নাসির ও অমির পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। সেই রিমান্ড শেষে দুই মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন নাসির উদ্দিন মাহমুদ।