আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মঞ্চটা প্রস্তুত ছিল আগেই। হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নয় তো কিলিয়ান এমবাপ্পে- যে কোনো একজনকে বিদায় নিতে হতো। সেই সঙ্গে ছিল আট বছর আগে ইউরোর ফাইনাল খেলা ফ্রান্স ও পর্তুাগালের নানা হিসাব নিকাশের সমীকরণও।
শুক্রবার জার্মানির হামবুর্গে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স-পর্তুগাল। ম্যাচের ৯০ মিনিটে তো গোল হলোই না। অতিরিক্ত সময়েও দেখা মিলল না কাঙ্ক্ষিত গোলের। এতে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে (৫-৩) হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে এমবাপ্পের ফ্রান্স।
বুধবার (১০ জুলাই) মিউনিখে প্রথম সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। আজ দিনের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারায় স্পেন।
ম্যাচের শুরুই ছিল ঢিমেতালে। দুই দলই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে। ২০তম মিনিটে এসে প্রথম শট নেয় ফ্রান্স। বক্সের বাইরে থেকে থিও হার্নান্দেজের শট আটকে দেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক কোস্তা।
২৮তম মিনিটে ফ্রান্সের এদোয়ার্দো কামাভিঙ্গার বক্সের বাইরে থেকে শট পোস্টের বেশ ওপর দিয়ে চলে যায়। ৪২তম মিনিটে বক্সের কাছে ফ্রি কিক পায় পর্তুগাল। ব্রুনো ফার্নান্দেজের ডানপায়ের শটটিও পোস্টে নাগাল পায়নি, ওপর দিয়েই চলে যায়। প্রথমার্ধে কোনো গোল না হওয়ায় বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতিতে থেকে ফিরে ৫০তম মিনিটে বল নিয়ে পর্তুগালে ডেরায় ভো দৌঁড় দেন এমবাপ্পে। তবে তার নেয়া শটটি সহজেই রুখে দেন কোস্তা। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে জোয়াও ক্যানসালোর নেয়া শটটি দুর্দান্তভাবে সেভ দেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইগনান।
এর মিনিট দুয়েক পরই আবারো আক্রমণে ওঠে পতুর্গাল। রাফায়েল লিওর বাঁ পাশ থেকে ক্রস করা বলটি ফ্রান্সের জালে জড়াতে চান ভিতিনহা। কিন্তু তার সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন মাইগনান।
৭০তম মিনিটে পর্তুগালের ডেরায় আক্রমণ চালিয়ে ব্যর্থ হন কামাভিঙ্গা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের বাকি সময়ে একাধিকবার আক্রমণে গিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি কেউই। এতে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের খেলায় তৃতীয় মিনিটেই ভালো সুযোগ আসে রোনালদোর সামনে। কাইসেদোর বাড়ানো বল আট গজ দূরে পেয়ে প্রথম স্পশেই জালে পাঠানোর চেষ্টা করেন তিনি। আর তাতে বল উঁচু হয়ে চলে যায় পেছনের গ্যালারিতে।
এ নিয়ে ইউরোর নকআউটে মুখোমুখি হওয়া ফ্রান্স-পর্তুগালের চারটি ম্যাচই গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়েও একাধিক সুযোগ আসে দুদলের। কিন্তু কেউই জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো সহজ সুযোগ গুলো মিস করে আক্ষেপ বাড়িয়েছে।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে শুরুটা ভালোই হয় দুদলের। কিন্তু জোয়াও ফেলিক্সের নেয়া তৃতীয় শটটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলে কপাল পুড়ে পর্তুগালের। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি তারা। ফ্রান্স প্রতিটি শটে গোল আদায় করে সেমির টিকিট নিশ্চিত করে।