আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ করোনায় অলিম্পিক পিছিয়েই গিয়েছিল এক বছর। এবারও যে হবে তা নিয়ে ছিল নানা অনিশ্চয়তা। শেষ অবধি পর্দা উঠল ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের’ এবারের আসরের। জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় দর্শকহীন গ্যালারির সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
তবে দর্শক নেই, স্বল্প সংখ্যক অ্যাথলেট, অনেক অনেক ফেসমাস্ক এবং জীবাণু-বিহীন ফ্ল্যাগ – এসব নিয়েই শুক্রবার (২৩ জুলাই) শুরু হলো টোকিও অলিম্পিকস।
করোনাভাইরাস মহামারি জাপানে একটি জাঁকজমকপূর্ণ অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার আশাকে একেবারে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে পুরো অনুষ্ঠানটির মেজাজ হবে ভাব-গম্ভীর, বর্তমান সময়ের জন্য যা উপযুক্ত।
টোকিও থেকে বিবিসি সংবাদদাতা অ্যালেক্স ক্যাপস্টিক জানাচ্ছেন, জাপানি সম্রাট নারুহিতো এই অলিম্পিকস উদ্বোধন করবেন। কিন্তু তার ভাষণে ‘উৎসব’, ‘আনন্দ’ ইত্যাদি শব্দগুলো থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
যে ভেন্যুতে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে তার ধারণ ক্ষমতা ৬৮ হাজার। কিন্তু অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন এক হাজারেরও কম মানুষ, যাদের বেশিরভাগই আমন্ত্রিত ভিআইপি।
সাম্প্রতিক কোন অলিম্পিকস নিয়ে এতটা বিতর্ক আর কখনই হয়নি। গত বছর করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে টোকিও অলিম্পিকস স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখনও টোকিওতে জরুরি অবস্থার মধ্যেই এই বিশ্ব প্রতিযোগিতা চলবে। কারণ জাপানে করোনার সংক্রমণ এখনও ঊর্ধ্বমুখী। তাই প্রায় কোন ইভেন্টেই দর্শক থাকতে পারবে না।
এই গেমস একেবারে বাতিল করার দাবী অনেক দিন ধরেই রয়েছে। কারণ এই ধরনের অনুষ্ঠানের পর সংক্রমণের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
কিন্তু আয়োজকরা আশা করছেন, এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর যখন বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা শুরু হবে তখন এবারের অলিম্পিকস নিয়ে সমালোচনাগুলো কমে আসবে।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিকস কমিটির সভাপতি টমাস বাখ বলছেন, স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুভূতি হবে আনন্দের এবং স্বস্তির।
বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসকে টোকিও অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘অলিম্পিক লরেল’ পদক পাচ্ছেন। বিশেষভাবে সামাজিক ব্যবসার নেটওয়ার্ক ইউনুস স্পোর্টস হাব তৈরিসহ ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য মি. ইউনুসকে এই পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাপানের সম্রাট নারুহিতো। ১৯৬৪ সালে অলিম্পিকের উদ্বোধন করেছিলেন তার দাদা সম্রাট হিরোহিতো। উপস্থিত আছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।