আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশে একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরেকদিকে রাজনৈতিক দুর্যোগ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে দুটি দুর্যোগ চলছে। একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কোভিড-১৯। অন্যটি হচ্ছে রাজনৈতিক দুর্যোগ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, কোভিডে মানুষের জীবন-জীবিকা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আর রাজনৈতিক দুর্যোগের মধ্য দিয়ে এ দেশে মানুষের যে মালিকানা ছিল, সেই মালিকানা বিলীন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা দেশে লুটেরা অর্থনীতি, একটা লুটেরা সমাজ তৈরি করেছে।
বুধবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। প্রায় পাছ ঘণ্টা ধরে এই আলোচনা সভা চলে। এতে বিদেশ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও যোগ দেন।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, মানুষের কোনো চিকিৎসা নেই। মানুষের জীবন নিয়ে ওরা তামাশা করছে। সত্যিকার অর্থে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, দেশনেত্রীকে মুক্ত করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং এখানে লাখো মানুষ যারা মামলা-মোকদ্দমায় জড়িত হয়ে পড়ে আছে, যারা কারাগারে রয়েছে তাদের মুক্ত করা এখন জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট শুধু বিএনপির নয়, এটা সমগ্র দেশের মানুষের। সেই লক্ষ্যে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এ জন্য যে, এসব সংগঠন দলের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, বাক স্বাধীনতা হরণ করেছে। মানুষ সত্য কথা বলতে পারছে না। সত্য আজকে মিথ্যার কাছে ধামাচাপা পড়ে গেছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশ দুটি ভাইরাসে আক্রান্ত। একটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ভাইরাস, আরেকটা হচ্ছে করোনাভাইরাস। তিনি বলেন, এই সরকার বিএনপিকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য কত-না চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা দলের শক্তিকে কিছুই করতে পারেনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান প্রমুখ। সবাই সদ্য প্রয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা জানান।