আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি কুমিল্লার পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখেছিলেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।
ইকবালকে গ্রেপ্তারে গত কয়েকদিন ধরে চলছে জোর অভিযান। তার সহযোগী হিসেবে অন্তত চার জন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে ইকবাল গ্রেপ্তার হলেই এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
পূজার আয়োজক, এলাকাবাসী, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার আগের রাত আড়াইটা পর্যন্ত মন্দিরে পূজাসংশ্লিষ্টদের উপস্থিতি ছিল। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুজন নারী ভক্ত মণ্ডপে এসে হনুমানের মূর্তিতে প্রথম কোরআন শরিফটি দেখতে পান।
রাত আড়াইটা থেকে ভোর সাড়ে ৬টার মধ্যে কোনো এক সময়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি কোরআন শরিফটি রেখে যান মণ্ডপে। এ সময় হনুমানের হাতের গদাটি সরিয়ে নেন তিনি। গদা হাতে তার চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে ওই এলাকারই কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরায়।
দুর্গাপূজায় সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের ওই মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার পর ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা।
ওই মণ্ডপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় নগরীর আরও বেশকিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায়।