এ, কে,আজাদ- আইরিশ বাংলাপোষ্টঃ জীবন জীবনের জন্য, মানুষ মানুষের জন্য । গ্রামেগঞ্জে হাটে বাজারে গান গেয়ে পাওয়া টাকা সংসার চলে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার তেকানী গ্রামের অন্ধ ফজলু বয়াতির। নিজে অন্ধ তারপর দুই প্রতিবন্ধীসহ মোট সাত সদস্যের সংসার। এতদিন গান গেয়ে পাওয়া টাকা সংসার চললে ও কোন রকম লকডাউন থাকার কারণে থেমে গেছে তার আয়। ফলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সন্তানসহ সাত সদস্যের পরিবারকে নিয়ে খুব কষ্টে আছেন। উল্লেখ্য প্রতিবন্ধী ফজলু বয়াতির বেশ কিছু গান ইউটিউবে ব্যাপকভাবে দমাদৃত।
মানবতার সেবায় নিজেকে আত্ম নিয়োগ করেছেন আয়ারল্যান্ড প্রবাসী সাগর আহমেদ শামীম। ফেসবুকে এসব লেখা তাসনুভা শামীম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাগর আহমেদ শামিম কে শেয়ার করে আরেক জন আমেরিকা প্রবাসী তাসলিমা সুলতানা। জনাব সাগর নিজে তাৎক্ষণিক অন্ধ ফজলু বয়াতির ফোনে খোঁজখবর নেন এবং লকডাউন কালীন সময়ে পরিবারকে হবিগঞ্জ প্রতিবন্ধী স্কুলের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
হবিগঞ্জ প্রতিবন্ধী স্কুলের পক্ষ থেকে এই অন্ধ ফজলু বয়াতির পরিবারের জন্য ২৫০০ টাকা বিকাশ করা হয়েছে। এবং যতদিন লকডাউন থাকবে এই পরিবারকে ২৫০০ করে প্রতিমাসে আর্থিক সহযোগিতা করে যাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ।
ফজলু বয়াতির মতো অনেক প্রতিবন্ধী পরিবার এই লকডাউনে কষ্টের মধ্যে আছে । আমরা যদি সকলে মিলে আমাদের আশেপাশের এই ধরনের প্রতিবন্ধী পরিবারের খোঁজখবর নেই এবং তাদের সহযোগিতা করি, তাহলে হয়তো আপনার এই সহযোগিতা অন্তত একবার হলেও ক্ষুধা থেকে বাঁচতে পারে বলে মনে করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ। হবিগঞ্জ প্রতিবন্ধী স্কুলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সেক্রেটারী মহসিন ও কোষাধক্ষ্য আব্দুস সহিদ চৌধুরী সমাজের সকল স্তরের মানুষকে প্রতিবন্ধী পরিবারের সহযোগীতায় এগিয়ে আসার আহবান করেন।
আশেপাশের দরিদ্র মানুষের দিকে সামর্থ অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার একটু সহযোগিতা বাঁচাতে পারে একটা জীবন।