আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পরে কিছু দোয়া, তাসবিহ ও জিকির রয়েছে। যেগুলো আলাদা আলাদা সওয়াব ও পুণ্যময়। এসব দোয়া ও জিকির সম্পর্কে হাদিসে প্রচুর বর্ণনা এসেছে। ফজরের পর অনেকগুলো দোয়ার কথা হাদিসে রয়েছে।
এই দোয়াটি মাগরিবের নামাজের পরও পড়া যায়। জেনে নেয়া যাক বরকতময় সেই দোয়াটি-
হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর দশ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু… পড়বে, বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, দশটি নেকি লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে, দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে হেফাজতের কারণ হবে। তেমনি মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩৫১৮)
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ কোনো কোনো বর্ণনায় ‘ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ুমিতু’ শব্দও রয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪)
দোয়াটি যখন পড়তে হবে
এ ব্যাপারে কোনো বর্ণনায় রয়েছে, নামাজের বৈঠক থেকে ওঠার আগে এবং কোনো কথা বলার আগেই পড়বে। অন্য বর্ণনায় শুধু নামাজের পর পড়ার কথা রয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৭৯৯০)
দোয়াটির সওয়াব-ফজিলতে বিভিন্ন বর্ণনা
আবার ফজিলতের বিষয়ে কোনো বর্ণনায় এসেছে, ‘…তার আমলনামায় একশ নেকি লেখা হবে, একশ গুনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব পাবে। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮৭১৯)
কোনো বর্ণনায় আছে, ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধরের একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। কোনো বর্ণনায় এসেছে, দশজন গোলাম আজাদের সওয়াব পাওয়া যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৭৭; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩৫৬৮)
বর্ণনায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তবে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো, ফজর ও মাগরিবের পর এই দোয়ার আমলের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করেন।