আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে মুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে তিন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকার রাস্তাঘাট, পুকুর, ফসলি জমি, বাড়িঘরে পানি ওঠায় বিপর্যস্ত জনজীবন।
গতকাল ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ফুলগাজী উপজেলার দুটি স্থান ও পরশুরাম উপজেলার একটি স্থানে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলাজুড়ে গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও বেড়িবাঁধ ভেঙে ২৯৫ হেক্টর জমির আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল ভোর ৪টার দিকে মুহুরী নদীর পানির চাপে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর বরইয়া এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর এলাকায় আরেকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। বেলা ২টার দিকে পরশুরাম উপজেলার আলকা গ্রামে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন শুরু হয়।
ফুলগাজী ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম জানান, মুহুরী নদীর পানির চাপে ফুলগাজীর দুটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গ্রামগুলো হলো উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া, কিসমত বিজয়পুর, বিজয়পুর, জগৎপুর, বণিকপাড়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, পূর্ব ঘনিয়া মোড়া।
এদিকে পরশুরামের ইউএনও সৈয়দা শমসাদ বেগম জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে উপজেলার পশ্চিম আলকা, নোয়াপুর ও ধনিয়াকুণ্ড গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহরিয়ার জানান, দুই উপজেলায় বাঁধের অন্তত ২০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মোছাম্মত শাহীনা আক্তার বলেন, ‘দুর্গত স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রাথমিকভাবে ২ লাখ টাকা, তিন টন চাল ও শুকনা খাবার এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’