আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সরকারকে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার সুরক্ষার তাগাদা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এমনটি আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর জন্য পরিবেশ তৈরি করা এবং বিরোধী দল যেন প্রচারণা চালাতে পারে সেটির ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
সোমবার (৭ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এমআর প্রাইস একথা জানান। বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেতাকে মুক্ত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানাবে কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি তিনি।
প্রাইস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক অবস্থান এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো এটি নিযে বাংলাদেশের সঙ্গে গোপনে এবং প্রকাশ্যে আলোচনা করে থাকে।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্র জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের আলোচনায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করার আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে আমরা সব বাংলাদেশির জন্য আইনের শাসন, মানবাধিকার রক্ষা ও মৌলিক স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানাই।
যুক্তরাষ্ট্র আশা ও সমর্থন করে, আগামী নির্বাচনে সামাজিক অংশগ্রহণ শক্তিশালী হবে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ তাদের সরকার নির্বাচিত করবে। তারা বাংলাদেশে আইনের শাসনের বাস্তবায়ন এবং সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
সম্প্রতি বিএনপিকে হুমকি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবারো জেলে পাঠানো হবে। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই মুখপাত্র বলেন, জনগণকে নিজেদের পছন্দের সররকারকে বেছে নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। নিশ্চিত করতে হবে সুশীল সমাজের ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ।
একইসঙ্গে বিরোধীদলের আন্দোলনে কোনো ধরনের ভীতি প্রদর্শন কিংবা বাধা প্রাদান না করে শান্তিপূর্ণ পন্থায় হাঁটতে সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির বার্তার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নেড প্রাইস।