বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যাবস্থা আজ কি সত্যিই বিপর্যস্ত ?

ডাঃ জিন্নুরাইন জায়গীরদার – আইরিশ বাংলা পোষ্ট ডেস্কঃ সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লক্ষ অতিক্রম করেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেলো। সামগ্রিক বিশ্বে উন্নত ও অগ্রসর বলে বিবেচিত রাষ্ট্র সমূহ যথা ইটালি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র এধরনের উন্নত ও ধনাঢ্য রাষ্ট্রে নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ প্রাণ অকালে হারিয়ে গিয়েছে আর কত প্রাণ চলে যাবে কেউ জানেনা। যদিও ইউরোপ জুড়ে বর্তমানে এক ধরনের ইতিবাচক নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ দেখা দেয়ায় লক ডাউন খুলে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ সমূহ বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত সংক্রমন বেড়েই চলেছে দ্রুত লয়ে। সেই সময়ে বাংলাদেশের পত্র পত্রিকা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এক ভয়াবহ রূপ প্রকাশ করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা খুলে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায় মৃত্যু, এম্বুলেন্সে মৃত্যু, লাশ নিয়ে কফিন মিছিল, মায়ের লাশ জঙ্গলে ফেলে পলায়ন এধরনের সংবাদের ছড়াছড়ি আমাদের কাছে বারে বারেই একটি বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি উন্মোচিত করছে। � প্রকাশিত সংবাদগুলোর মধ্যে কয়েকটি সংবাদের পর্যালোচনা বিশেষ প্রয়োজন:

১) “সিএমএইচে আস্থা ডিজি হেলথের!” এই শিরোনামে আমাদের সময়ের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ যে, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক নিজে চিকিৎসা নিতে সামরিক বাহিনীর হাসপাতালের স্মরনাপন্ন হয়েছেন তাও অগোচরে, চুপিচুপি। আমরা জানি মহাপরিচালক স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা। তিনি নিজে যখন নিজের পরিচালনাধীন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায় আস্থা রাখেন না, সেই ব্যবস্থা বিপর্য্যস্ত হতে বাধ্য। এই অবস্থায় তার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার পরিচালনা আদৌ কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে তড়িৎ ভেবে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যাবশ্যক।�

২)“চিকিৎসা না দিলে জরিমানা নয়, হাসপাতাল সিলগালা করা হবে।” এই শিরোনামে যুগান্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে প্রতীয়মান হচ্ছে যে ডঃ আব্দুল মোমেন বলছেন, “চিকিৎসা না দিলে জরিমানা নয়, হাসপাতাল সিলগালা করা হবে।” একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যদি সাধারণ্যে এধরনের হুমকি দিতে হয়, তাহলে এটা অনুধাবন করতে বেশী বেগ পেতে হয়না যে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ টুকুও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাহলে কি হাসপাতাল সমূহ চিকিৎসা প্রদানে অনীহা প্রদর্শন করছে কিংবা করেছে? আমরা মনে করি শুধুমাত্র সঠিক নেতৃত্ব জনমনে দায়িত্বশীলতা আর সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুমকিতে কোন কাজ হবে বলে মনে করলে ভুল করা হবে কেননা আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। আর শুধুমাত্র আইন দিয়ে দেশ চালানো যায় বলে মনে করা ভুল। দেশের অধিকাংশ জনগণ যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হোন তাহলে আইন প্রয়োগ বিপর্যস্ত হতে বাধ্য।

৩) “আক্রান্তের চেয়ে উপসর্গে মৃত্যু বেশী” এই শিরোনামে ৭ই জুন প্রতিদিন পত্রিকার প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে যে, প্রতিদিন সরকারীভাবে যে মৃত্যুর সংখ্যা দেখানো হচ্ছে তার থেকে বেশী মৃত্যু হচ্ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে। এই প্রতিবেদনে আরও বলা হচ্ছে যে, “বাসা-বাড়িতে অধিকাংশেরই মৃত্যু হচ্ছে করোনা উপসর্গ নিয়ে। অভিযোগ আছে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ব্যথা নিয়ে মানুষ অসহায় হয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কীটপতঙ্গের মতো ছুটছে। কিন্তু কোথাও মিলছে না চিকিৎসা। সরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি নেই। বেসরকারি হাসপাতালসমূহ রোগী ভর্তি করার কথা বলেও করাচ্ছে না। ফলে মানুষ অনেকটা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। তাছাড়া অক্সিজেনের জন্য হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে মুমূর্ষু রোগী। অসময়ে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কাছে অসহায় মানুষদের আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে।”

৪) “২৪ ঘণ্টা ঘুরে মেলেনি আই সি ইউ মারা গেল দুই ভাই” এই শিরোনামে আমাদের সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যে দুই ভাইই মৃত্যুবরণ করেছে কিন্তু তারা আই সি ইউ তে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এ সম্পর্কিত সাম্প্রতিক একটি সংবাদে প্রকাশিত হছিলো যে দেশের প্রথিতযশা ধনাঢ্য পরিবারের দুই ভাই আই সি ইউ বেড ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন।

৫) “বিনা-চিকিৎসায়-মৃত্যুর-প্রতিবাদে-সিলেটে-‘কফিন মিছিল”, “ফিরিয়ে দিল সিলেটের চার হাসপাতাল, আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু” “চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবার বেহাল অবস্থা” এই সব শিরোনামে প্রতিদিন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সমূহ জাতির জন্য শঙ্কার। জনগণ বিচলিত হতে বাধ্য। এমতাবস্থায়, “করোনা সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু একটা ব্যবস্থা নেয়া দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী” এই শিরোনামে আমাদের সময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্বাথ্যব্যাবস্থার পুরোধা স্বয়ং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “দিন দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু একটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনাভাইরাসের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ এর পঞ্চম পর্ব ‘করোনা সংকটকালে স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।” স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এই বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে বলে দেয় যে, আজো তিনি কিছু একটা করার কথা ভাবছেন। তিনি যদি বলতেন, উনি কি কি করেছেন আর কি কি করতে চলেছেন তাহলে এই বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায়ও জনগণ আশার আলো দেখতে পেতো। কিন্তু হা হতোস্মি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সম্পৃক্ততা এবং অনুধাবনের শক্তিহীনতা অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

৬) “আই সি ইউ ও অক্সিজেন সংকট তীব্র” এই শিরোনামে দীর্ঘ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যুগান্তর পত্রিকায়। এই প্রতিবেদনটি একটি চরম হতাশা আর দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেছে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, “সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে সারা দেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯। অথচ সারা দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন। এদের মধ্যে প্রায় আট হাজার রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা বাসায় চিকিৎসাধীন। মোট রোগীর ৫ শতাংশের বেশির আইসিইউ’র প্রয়োজন হয়। এতে প্রায় তিন হাজার রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট দরকার। অথচ সারা দেশে আছে মাত্র ৩৯৯টি। এর মধ্যে করোনার বাইরে অন্য রোগে আক্রান্তদেরও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র প্রয়োজন। সব মিলে এ ধরনের শয্যার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহও প্রকট আকার ধারণ করেছে।”

৭) “দেশে করোনায় মোট ২৫ জন চিকিৎসকের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৭৯” এই সংবাদটি করেছে এন টি ভির বরাতে প্রিয়.কম। এই সংবাদটি অত্যন্ত মর্মব্যাথার ও ভয়ানক সংবাদ। না জানি করোনা উপসর্গে আরও কত জন চিকিৎসক প্রাণ হারালেন? এত সংখ্যক চিকিৎসকের প্রাণবিয়োগ প্রমাণ করে দেয় কি ধরনের বিপর্যস্ত এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তার চিকিৎসককে সুরক্ষিত রাখতে পারেনি সেই ব্যাবস্থা জাতির স্বাস্থ্যের সুরক্ষা দেবে সেটা কোন অর্বাচীন বলবে আমার জানা নেই।

� বৈশ্বিক মহামারীর জন্য বিশ্বের কোন রাষ্ট্রেরই আগাম প্রস্তুতি ছিল না, সেটা সম্ভব ও ছিল না। চীনে এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর ধীরে ধীরে পশ্চিমা বিশ্ব আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু অধিকাংশ রাষ্ট্র সরকার সময়োচিত পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়েছেন। যার কারণে লক্ষ লক্ষ জীবন ঝরে গেছে অকালে অকারণে। বাংলাদেশে এই সংক্রমন হয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের আরও পরে, হাতে যথেষ্ট সময় পাওয়া গেলেও সরকার পরিচালনায় যারা আছেন তারা কোন দূরদর্শিতা কিংবা সঠিক নেতৃত্ব দেখাতে ব্যর্থতারর পরিচয় দিয়েছেন। উন্নত বিশ্ব যেখানে বিপর্য্যস্ত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই বিপর্যস্ত অনুধাবনে সরকারী যন্ত্র কতটুকু সক্ষম সেটাই আজ জনমনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন নূতন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে আর মৃত্যুর মিছিল ও লাশের লাইন প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে।

�এই অবস্থায় কি করা যেত আর কি করা উচিত সেটা ভেবে এখনো সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সম্পূর্ন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হতেও পারে। দেশ ও জাতি বড় আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে আর মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করছে যেন আল্লাহ আমাদের দেশ ও জাতিকে আর পরীক্ষায় না ফেলেন। আর জীবন যেন অকালে ঝরে না যায়, আর মানুষ যেন হাসপাতালের দুয়ারে চিকিৎসার অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে না থাকে।

সূত্র সমূহঃ
১। ৭ই জুন ২০২০ আমাদের সময়ঃ “কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে পারলেন না রোগী, গাড়িতেই মৃত্যু”
https://www.amadershomoy.com/bn/2020/06/07/1159043.�২। ৬ই জুন ২০২০ প্রথম আলোঃ “বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রতিবাদে সিলেটে ‘কফিন মিছিল’”�https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1661126/বিনা-চিকিৎসায়-মৃত্যুর-প্রতিবাদে-সিলেটে-‘কফিন
৩। ৬ই জুন ২০২০ বাংলাদেশ প্রতিদিনঃ “ফিরিয়ে দিল সিলেটের চার হাসপাতাল, আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু” �https://www.bd-pratidin.com/chayer-desh/2020/06/06/536364�
সিলেটে গত ৫দিনে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মারা গেছেন ৩ জন। এই ঘটনাগুলোর রেশ এখনও কাটেনি�৪। ৬ই জুন ২০২০ যুগান্তরঃ “চিকিৎসা না দিলে শুধু জরিমানা নয়, হাসপাতাল সিলগালা করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী”
�৫। ৬ই জুন ২০২০ যুগান্তরঃ https://www.jugantor.com/country-news/313187/বাড়ির-সামনে-লাশ-ফেলে-পালানোর-সময়-অ্যাম্বুলেন্সচালক-আটক�৬।https://www.jugantor.com/country-news/313168/সিলেটে-কফিন-নিয়ে-মিছিল �৭। https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1661115/করোনা-সন্দেহে-মাকে-রাস্তায়-ফেলে-গেলেন-ছেলে-পুলিশ �৮। ৭ই জুন ২০২০ আমাদের সময়ঃ “সিএমএইচে আস্থা ডিজি হেলথের!”
http://www.amadershomoy.com/bn/2020/06/07/1159017.html
৯।https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/313206/চট্টগ্রামের-স্বাস্থ্যসেবা-https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/313206/চট্টগ্রামের-স্বাস্থ্যসেবা-বেহাল
১০।https://www.priyo.com/e/2123360-কুমিল্লা-মেডিকেলে-কিট-সংকটে-পরীক্ষা-https://www.priyo.com/e/2123360-কুমিল্লা-মেডিকেলে-কিট-সংকটে-পরীক্ষা-বন্ধ
১১। http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=230014
১২।http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=229846&cat=2/সিলেটে-৪-হাসপাতাল-ঘুরে-চিকিৎসা-না-পেয়ে-মারা-গেলেন-ইকবাল
১৩। http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=230001&cat=3ঃ “২৪ ঘণ্টা ঘুরে মেলেনি আই সি ইউ মারা গেল দুই ভাইঃ
১৪। https://www.bd-pratidin.com/city/2020/06/07/536472 “আক্রান্তের চেয়ে উপসর্গে মৃত্যু বেশী” �১৫। https://www.amadershomoy.com/bn/2020/06/07/1159364.html “করোনা সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে জরুরি ভিত্তিতে কিছু একটা ব্যবস্থা নেয়া দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী”
১৬।https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/313530/আইসিইউ-ও-অক্সিজেন-সংকট-তীব্র�১৭।https://www.priyo.com/e/2126375-দেশে-করোনায়-মোট-২৫-চিকিৎসকের-মৃত্যু-আক্রান্ত-১০৭৯

SHARE THIS ARTICLE