বাইডেনের জন্য ‘গোপন’ চিঠি রেখে গেছেন ট্রাম্প

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি রীতি ঠিকই মেনেছেন। হোয়াইট হাউজ ছাড়ার আগে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য একট চিঠি রেখে গেছেন তিনি। তবে এই ‘গোপন’ চিঠিতে কী আছে তা এখনো জানা যায়নি। দায়িত্ব পাওয়ার পর ওভাল অফিসে পৌঁছে নতুন চুক্তি ও সিদ্ধান্তে স্বাক্ষরের সময় এই চিঠি পান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, বুধবার (২০ জানুয়ারি) ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি উদার মনোভাবসম্পন্ন চিঠি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য রেখে গেছেন। হোয়াইট হাউজে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি তার (ট্রাম্প) সাথে কথা না বলে এটা নিয়ে আলোচনা করব না, তবে চিঠিটি উদার প্রকৃতির।’

যখন কোন নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ওভাল অফিসে প্রথমবারের মত প্রবেশ করেন তিনি পূর্বের প্রেসিডেন্টের চিঠি হাতে পান। জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের জন্য রোনাল্ড রেগানের চিঠির পর থেকেই উত্তরসূরীর জন্য চিঠি রেখে যাওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়। এই ঐতিহাসিক চিঠিগুলো সাধারণত রাখা হয় ওভাল অফিসের রেজুলুট ডেস্কে। এর আগে বারাক ওবামাও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য চিঠি রেখে গিয়েছিলেন। তারও আগে বিল ক্লিনটন জর্জ বুশের জন্য এবং জর্জ বুশ ওবামার জন্য চিঠি রেখে যান। এসব চিঠিতে প্রকাশ পেয়েছে বিদায়ী প্রেসিডেন্টদের রেখে যাওয়া নানা দিক-নির্দেশনা এমনকি কৌতুকবোধও। 

সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়,  চিঠি বিষয়ক বক্তব্য দেওয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাইডেন। এসময় দেশজুড়ে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের আদেশও স্বাক্ষর করেন তিনি। এছাড়া দায়িত্বে এসেই করোনা মোকাবিলা এবং জাতিগত বৈষ্যমের মতো ইস্যুতেও ট্রাম্পের নীতির পরিবর্তনেও স্বাক্ষর করেন বাইডেন।

এর আগে ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই রাজনৈতিক উগ্রবাদ, শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য এমনকি ঘরোয়া সন্ত্রাসবাদের শেকড় উপরে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন। একইসঙ্গে নতুন করে শুরুর ডাক দিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাপিটল হিলের চত্বরে বাইডেন-কামালার অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়। শপথ বাক্য পাঠ করতে বেগুনি রঙের ব্লেজার পরে মঞ্চে আসেন কামালা হ্যারিস। তাকে শপথ পড়ান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়র। 

বাইডেনের জন্য মার্কিন রাজনীতির চূড়ায় পৌঁছানোর এই পথ মোটেও সহজ ছিল না। তিনবারের চেষ্টায় এই সাফল্য ধরা দিয়েছে তার হাতে। ১৯৮৭ এবং ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বাইডেন। দু’বারই ব্যর্থ হন। কিন্তু ২০২০ সালে আর নিরাশা নয়, ধরা দিয়েছে বহুল প্রত্যাশিত সেই সফলতা। বিপুল ভোটে জিতে ট্রাম্পের হাত থেকে কেড়ে নিয়েছেন হোয়াইট হাউসের নিয়ন্ত্রণ। আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে মোতায়েন রয়েছে ২৫ হাজার সেনা সদস্য।

SHARE THIS ARTICLE