আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বিদেশি অপরাধীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে ব্রিটিশ সরকার। নতুন এই আইনের ফলে এখন থেকে কোন সাজাপ্রাপ্ত বিদেশি অপরাধী আধুনিক দাসত্বের শিকার দাবি করে তার ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত করতে পারবে না৷
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সোমবার ৩০ ডিসেম্বর থেকে বিদেশী অপরাধীদের তাদের নিজ দেশে ডিপোর্টের সুবিধার্থে নতুন আইনী ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে৷ নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কথিত আধুনিক দাসত্বের শিকার হিসাবে দাবি করা থেকে বিরত রাখতে চায় লন্ডন৷
আগের নিয়ম অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে একজন বিদেশী অপরাধী আধুনিক দাসত্বের শিকার বলে দাবি করলে সেক্ষেত্রে তার মামলার কার্যক্রম শেষ হওয়া পর্যন্ত তাকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত থাকত৷ এই নিয়মের ফলে অপরাধী হিসেবে সাজা পাওয়া অনেক অভিবাসীদেরকে তাদের দেশে পাঠিয়ে দিতে আইনি চ্যালেঞ্জে পড়ত ব্রিটেন৷ এখন নতুন করে আইন প্রণয়ন করায় সে বাধা কাটল।
ব্রিটিশ হোম অফিস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন পদক্ষেপের ফল যারা অতীতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ফেরত পাঠানো ঠেকিয়ে দিয়ে দিয়েছিল সেসব ব্যক্তি আর আগের সুরক্ষা থেকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ পাবেন না৷
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত মাসে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় তার পরিকল্পনা উপস্থাপন করার সময় ঘোষণা করেছিলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এখন থেকে উদ্দেশ্যমূলক আধুনিক দাসত্বের শিকারের প্রমাণ হাজির করতে হবে৷ শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না৷
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এটি সম্পূর্ণ অন্যায্য যে এই নিয়মের চরম অপব্যবহারের কারণে আধুনিক দাসত্বের শিকার প্রকৃত ভুক্তভোগীদের তাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘নতুন পরিবর্তনগুলি কার্যকর হওয়ার অর্থ হচ্ছে, আপনি যদি কোনও অপরাধ করে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে আমাদের দেশ থেকে আপনাকে পাঠিয়ে দিতে আমাদের হাতে ক্ষমতা আছে৷’’
সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া পদক্ষেপগুলি ১২ মাস বা তার বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের জন্য প্রযোজ্য হবে৷ বিশেষ করে যারা গুরুতর অপরাধ যেমন খুন, সন্ত্রাস বা যৌন অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অথবা যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে৷