আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ অ্যামেরিকার বিভিন্ন দেশসহ মোট ৭৩টি দেশের নাগরকিদের মাসখানেকের জন্য ভিসামুক্ত প্রবেশ সুবিধা দিতে যাচ্ছে বেলারুশ৷ এতে চিন্তায় পড়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া৷ বেলারুশের এ সিদ্ধান্তে ইউরোপমুখী অনিয়মিত অভিবাসন হুট করে বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে রাষ্ট্র দুইটি ৷
বার্ষিক সংগীত উৎসবকে সামনে রেখে নিজ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে বৈশ্বিক মেলবন্ধন বাড়াতে চায় বেলারুশ৷ উৎসবে অংশ নিতে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ অ্যামেরিকাসহ ৭৩টি দেশের নাগরিকদের ভিসামুক্ত বেলারুশ ভ্রমণের অনুমতি দিয়ে একটি ডিক্রিতে সই করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো৷
ওই সংগীত উৎসবের টিকিটধারী সবাই আগামী ৪ থেকে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে বিনা ভিসায় বেলারুশ ভ্রমণ করতে পারবেন৷
সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের কথা বললেও বেলারুশের এ সিদ্ধান্তটিকে হুমকি হিসেবে দেখছে লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের সরকার৷ তারা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত ইউরোপমুখী অনিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত করবে এবং অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়ে যাবে৷ কারণ ২০২১ সালেও বেলারুশকে ট্রানজিট করে অসংখ্য অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তে ভিড় করেছিলেন৷
বেলারুশ ইউরোপমুখী অনিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত করে আসছে বলে বরাবরই অভিযোগ ইউরোপীয় দেশগুলোর৷ ২০২১ সালের ঘটনার জন্যও বেলারুশ সরকারকে দায়ী করেছে লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ড৷
পোল্যান্ডের বিশেষ পরিষেবামন্ত্রীর ভারপ্রাপ্ত সহকারী স্ট্যানিসলভ সারিন অভিযোগ করেন, মাসজুড়ে ভিসামুক্ত প্রবেশ সুযোগ দিয়ে ওই ঘটনারই পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করছে রাশিয়া ও বেলারুশ৷
বেলারুশ থেকে পশ্চিমে যাওয়ার একটি অনিয়মত পথ তৈরি করে পোল্যান্ডসহ ইউরোপকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্য ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেটি যদি সফল হয়, তাহলে বেলারুশে অনেক মানুষ আসবেন৷ আর এর মধ্যে দিয়ে ইউরোপের পূর্ব সীমান্তে লুকাশেঙ্কোর হাইব্রিড অপারেশনকে আরো তীব্র করবে৷’’
২০২১-২০২২ সালে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তান থেকে হাজারো অনিয়মিত অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমনের জের ধরে বেলারুশ সীমান্তে বেড়া দেয় পোল্যান্ড৷ পোলিশ সীমান্তরক্ষীদের দাবি, প্রতিদিন আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ২৫/৩০ জন নাগরিক অনিমিয়ত পথে বেলারুশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আসার চেষ্টা করেন৷
লিথুয়ানিয়ার স্টেট বর্ডার গার্ড সার্ভিসের কমান্ডার রুস্টামাস লিউবায়েফাস বলেন, আমাদের সরকার মনে করে, আগামী ১১-১২ জুলাই যখন ভিলনিয়াসে ন্যাটো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, তখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইউরোপে প্রবেশে উসকে দিতে পারে বেলারুশ৷