ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া সেই আলমগীরের খোঁজে পুলিশ

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাওয়া আলমগীর কবিরকে খুঁজছে বগুড়া জেলা পুলিশ। ওই বিজ্ঞাপন দাতার কোনো সাহায্যের প্রয়োজন কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার খোঁজ চলছে।

আর্থিক অনটনের কারণে আলমগীর কবিরের তিন বেলা ঠিকমতো খাওয়া হচ্ছিল না। এই কারণে উপায় না দেখে সম্প্রতি তিনি আশ্রয় নেন বিজ্ঞাপনের। দেয়ালে সাঁটানো বিজ্ঞাপনে তিনি জানান, ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই।’

দেয়ালে লাগানো সেই বিজ্ঞাপনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি। এরপর থেকে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। এতে আলমগীর নিজেই বিব্রত অবস্থায় পড়েন। তিনি জানান, ফেসবুকে ওই পোস্ট তিনি করেননি। অন্য কেউ করেছেন।

৩২ বছরের আলমগীর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শরাইল গ্রামের বাসিন্দা।

আলমগীর বগুড়া শহরের জহুরুলনগর একতলা মসজিদ এলাকার পাশের একটি বাড়িতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশের খোঁজের বিষয়টি আমি জানি না। মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছি। কারণ, বিভিন্ন মানুষ আমার এই নম্বরে ফোন দিয়ে নানা ধরনের বিব্রতকর কথা বলছেন। এ ছাড়া দেখছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজে আমাকে নিয়ে কটূক্তি করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমার খোঁজ করে থাকলে আমি তাদের সঙ্গে নিজে যোগাযোগ করব।’

বিজ্ঞাপনদাতা আলমগীরকে খোঁজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা।দেয়ালে লাগানো সেই বিজ্ঞাপন। ছবি : সংগৃহীত

দেয়ালে লাগানো সেই বিজ্ঞাপন। ছবি : সংগৃহীত

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তার সন্ধান করছি। জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিজ্ঞাপনদাতা আলমগীরের ইন্টারভিউ নিতে চান। তবে মোবাইল ফোনে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া মুখপাত্র শরাফাত ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞাপন দেয়া ব্যক্তির মানবিক কোনো সাহায্যের প্রয়োজন কি না এ জন্য তার খোঁজ করা হচ্ছে।’

এর আগে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে আলাপে আলমগীর বলেন, ‘একা থাকার জন্য তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা কষ্টকর হচ্ছিল। তাই বাসার আশপাশে ভাতের বিনিময়ে পড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। এতে আমার খাবারের চাহিদা পূরণ হতো। বাজার ও রান্নার ঝামেলাও কমত। কে যেন এটি ইন্টারনেটে ভাইরাল
করে দেয়।’

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মানুষ বিষয়টি বাজেভাবে উপস্থাপন করছে। অনেকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে বলছে। কিন্তু এটা সরকারের কোনো ব্যর্থতার বিষয় নয়। মানুষ না বুঝেই বিভ্রান্ত করছে।

SHARE THIS ARTICLE