হজ পালনকারীরা মক্কায় আসতে শুরু করেছেন

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র হজ। `লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে ফের মুখরিত হবে পবিত্র নগরী মক্কা। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবারের হজে অংশ নেওয়া হজযাত্রীরা সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করে মক্কায় আসা শুরু করেছেন। আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ।

২৫ জুলাই বিকেলে দেশটির আল কাসিম প্রদেশ থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে হজযাত্রীদের একটি দল জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। এ সময় হজযাত্রীদের কবুল হজ নসিবসহ তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়। দোয়ায় পাপ থেকে মুক্তির পাশাপাশি করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তি কামনা করা হয়।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন বলেছেন, হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ সময় তিনি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশটির নাগরিকদেরও বিধি-নিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানান।

Coronavirus News: Saudi Arabia Races to Contain Epidemic in Mecca ...

পূর্ব ঘোষণা মতে, শনিবারের মধ্যে সৌদি আরবের অন্যান্য প্রদেশের হজযাত্রীরা মক্কা এসে পৌঁছানোর কথা। এই হজযাত্রীরা ১৯ জুলাই হোম কোয়োরেন্টিন পালন করছিলেন। হজপালনের জন্য মক্কায় প্রবেশের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা নির্দিষ্ট হোটেলে (জমজম টাওয়ার) আরও চারদিনের কোয়ারেন্টিন পালন করবেন।

এর পর ৮ জিলহজ বাদ ফজর রওয়ানা হবেন মিনায়। মিনাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান ও মক্কায় হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়।

সৌদি আরবে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের অধিবাসী ও দেশটির নাগরিকদের সমন্বয়ে এবার ১০ হাজার মানুষ হজপালন করবেন। সীমিত মানুষের অংশগ্রহণের হজ অনুষ্ঠিত হলেও সার্বিক প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই সৌদি কর্তৃপক্ষের। মাশায়েরে মোকাদ্দাসায় (হজের বিধি-বিধান পালনের বিশেষ স্থানসমূহ) প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেসব স্থান হজযাত্রীদের জন্য পুরোপুরি প্রস্তত রাখা হয়েছে। জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে হাজিদের চলাচলের এলাকাসমূহ।

মসজিদে হারামেও বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। হজের সময় সাড়ে ৩ হাজার সদস্যের বিশাল একটি দল থাকবে মসজিদে হারামের তত্ত্বাবধানে। মসজিদের হারাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, মসজিদের হারামের সার্বিক যান্ত্রিক ত্রুটি দেখাশোনা করা এবং অপবিত্রতা থেকে রক্ষার জন্য এই দল গঠন করা হয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টা মসজিদে হারামে কর্মরত থাকবেন।

হারামাইন প্রেসিডেন্সির টেকনিক্যাল এবং সার্ভিস শাখার অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ বিন মসলাহ আল জাবরি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে মসজিদের হারামকে সব ধরনের জীবাণু থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা শুরু করে মসজিদে হারাম কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, মসজিদে হারামের অভ্যন্তরীণ অংশ ২৪ ঘণ্টা জীবাণুনাশক উপাদান দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। এ কাজে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহার করা হয়।

SHARE THIS ARTICLE