আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন। এখন পর্যন্ত মাত্র একজন সৌভাগ্যবান রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিট থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া ওই যুবকের নাম মো. মামুন (৩০)। তিনি পোশাক শ্রমিক। পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে মামুন তল্লা এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন।
মামুনের স্ত্রী রুবি আক্তার জানান, সোমরার বিকালে ছাড়পত্র হাতে পেয়েছি। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় হাসপাতাল থেকে বের হই আমরা।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানান, মামুনের শরীরের ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার দুই পা, হাত ও চুল মুখমণ্ডল সামান্য দগ্ধ হয়েছে। তিনি আশংকামুক্ত হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৩৭ জন মুসল্লি রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিটে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ২৭ জন মারা গেছেন। নয়জন ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। এর মধ্যে আইসিইউতে ছয় জনসহ বাকি সবার শরীর ৫০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে নারায়ণগঞ্জে তল্লা এলাকায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এমন অভিযোগে তিতাস গ্যাসের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের বরখাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গ্যাস থেকেই এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন। বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন আরও ৯ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।