আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ আশুলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার অধ্যক্ষ তৌহিদ বিন আজহার আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মনিকা খান শুক্রবার (২২ জানুয়ারী) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার খাসকামরায় আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকার হুরে জান্নাত মহিলা ও নুরে মদিনা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আজহারের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান এ আদালতের প্রসিকিউশন পুলিশের ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, যতদূর জানতে পেরেছি, তিনি ঘটনার পূর্বাপর সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন। ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তার পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে দাঁড়াননি। তৌহিদ বিন আজহারকে আসামি করে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারী) আশুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হওয়ার পর রাতে ঢাকার মিরপুরের কাফরুল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।৬৫ বছর বয়সী এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কয়েকদিন আগে মাদ্রাসার একজন আবাসিক ছাত্রীকে চা বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতিও দেখান।
ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেও না পেরে এক সহপাঠীর মাধ্যমে চিঠি লিখে পরিবারকে পুরো ঘটনা জানায়। এরপর অধ্যক্ষ আজহার আত্মগোপনে চলে যান। পরে ওই ছাত্রীর বাবা অধ্যক্ষকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১১ বছর বয়সী মেয়েটিকে শুক্রবার (২৩ জানুয়ারী) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে আশুলিয়ার থানার এসআই আল মামুন কবির জানান।