আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আবদুল্লাহ আহমেদ শাহ করোনাভাইরাস সংকটের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের একটি অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তিনি এর প্রয়োজন অনুভব করেন না। সাংবিধানিক বিশ্লেষক ও আইনজীবীদের মতে রাজা কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান অস্বাভাবিক হলেও অসাংবিধানিক নয়।
গতকাল রোববার মালয়েশিয়ার রাজার এই পদক্ষেপটি প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিনের জন্য মারাত্নক একটি ধাক্কা হিসেবে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে এই ঘটনা এমন একটি সময়ে ঘটেছে যখন তিনি বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এবং তাঁর নিজস্ব জোটের মধ্যেও দ্বন্দ্ব চলছে। সমালোচকরা প্রধানমন্ত্রীর জরুরী অবস্থা ঘোষণার এই প্রস্তাব, ক্ষমতার উপর তার দখল ধরে রাখার প্রয়াস হিসাবে এর নিন্দা করেছেন কারণ এটি সংসদে সম্ভাব্য শোডাউন এড়াতে সহায়তা করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং মহামারীর কারনে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতি তার এই ব্যার্থতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রাসাদ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে “সুলতান আবদুল্লাহ মনে করেন, এই মুহূর্তে মালয়েশিয়ায় কিংবা দেশের কোনও অংশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কোনও প্রয়োজন নেই।” “মহামান্য রাজা আস্থা রাখেন যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সরকার কোভিড-১৯ মহামারী সংক্রমণ রোধে গৃহীত নীতি ও পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম।”
রাজা রাজনীতিবিদদের প্রতি আসন্ন বাজেটের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করতে পারে এমন কোন রাজনীতি না করার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন যদি জোটের প্রয়োজনীয় সমর্থন অর্জনে সফল না হোন তাহলে তাকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে এবং ফলশ্রুতিতে দেশে আরেকটি নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দেবে। গত মার্চ মাসে মাত্র দুই আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মহিউদ্দিন একটি অনিশ্চিত অবস্থানে রয়েছেন।
এদিকে গত মাসে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছিলেন, দলত্যাগীদের সহায়তায় নতুন সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাঁর রয়েছে।